বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন দূষণমুক্ত রান্না ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘৮০ লাখ উন্নতমানের চুলা প্রচলিত চুলার স্থলে সংযোজন করা হয়েছে। গ্রাম অঞ্চলেও রান্নায় এলপিজি ব্যবহৃত হচ্ছে। রান্নার কাজে বায়ু গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সমাধান নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) অনলাইনে ‘ক্লিন কুকিং সপ্তাহ’ উপলক্ষে ক্লিন কুকিং অ্যালায়েন্স (সিসিএ) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পরিষ্কার রান্নাকে লক্ষ্য করে ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ বিভাগ ক্লিন কুকস্টোভের জন্য কান্ট্রি অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করে। স্রেডা বাংলাদেশে গৃহস্থালী জ্বালানি প্ল্যাটফর্ম প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যার মাধ্যমে উন্নত রান্না ব্যবস্থার সমন্বয় করা হয়। নির্ধারিত সময়সীমার আগেই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিষ্কার রান্নায় শতভাগ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত পন্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ কাজ করছে।’
ওয়েবিনারে পরিষ্কার রান্না, পরিচ্ছন্ন রান্না পদ্ধতি কৌশলের বিবর্তন, পরবর্তী পদক্ষেপ এবং পরিচ্ছন্ন রান্নার কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানকারী নারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরিষ্কার রান্না ও মাল্টি-স্টেকহোল্ডার এনার্জি কম্প্যাক্টের ওপরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন ক্লিন কুকিং অ্যালায়েন্স (সিসিএ)-এর চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স জিলিন কনর্স বেলোপলস্কি।
সিসিএ’র চিফ সায়েন্স অ্যান্ড লার্নিং অফিসার ডনি আলেকজান্ডারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিয়েরা লিওনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. এলড্রেড টুন্ড টেলর, কেনিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নবায়নযোগ্য জ্বালানির সিনিয়র উপ-পরিচালক ড. ফেদ ওয়ান্ডেরা-ওডোঙ্গো সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।