বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে নয়। ভারতের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এমন মত দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জি নিউজ।
দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় প্রায় এক বছর ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছে কৃষকরা। বিক্ষোভকারীদের সরাতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এ নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলোকে মতামত জানাতে তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর।
দিল্লিতে সড়কে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের হঠাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন নয়ডার এক ব্যক্তি। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘শেষ পর্যন্ত একটা সমাধান তো দরকার। আইনি লড়াই চললেও বিক্ষোভের অধিকারের বিপক্ষে নই আমরা। কিন্তু রাস্তা তো আটকানো যায় না।’
দুই বিচারকের বেঞ্চের বিচারপতি এসকে কল বলেন, ‘পার্লামেন্টে বিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন কীভাবে হাইওয়ে আটকে রাখা হচ্ছে?’
আরেক বিচারক এমএম সুনন্দ্রেশ বলেন, ‘আপনাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু এভাবে রাস্তা আটকে রাখা তো ঠিক নয়। মানুষের রাস্তায় চলার অধিকারও রয়েছে।’
বিক্ষোভের অধিকার নিয়ে গত বছর সাবেক প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে-র বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন কৃষক সংগঠনগুলোর আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে। তবে আদালত বলেন, ‘এ ব্যাপারে ঢুকতে চাই না।' দাভে বলেন, ‘রামলীলা ময়দানে কৃষকদের ঢুকতে দেওয়া হোক। এটাই সমাধান। সেখানে পাঁচ লাখ মানুষ নিয়ে সভা করেছে বিজেপি। অথচ কৃষকদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। কেন এই দ্বিচারিতা?’
রামলীলায় কয়েকজনকে ঢুকতে দেওয়ার পর গুরুতর বিষয় ঘটে গিয়েছিল বলে দাবি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। দাভে তখন বলেন, ‘গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত ছিল। লালকেল্লায় যারা উঠেছিল তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই।’