দাদা শহীদ এম. মনসুর আলীর স্মৃতিবিজড়িত কুড়িপাড়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে হামলার শিকার হলেন ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন। তার গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যানকে মেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি।
ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে। তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল মমিন জানান, শুক্রবার বিকালে কুড়িপাড়ায় দাদার বাড়িতে যান তিনি। তার সঙ্গে শহীদ এম. মনসুর আলীর ছোট ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যান সুমন ছিলেন। হঠাৎ বেশ কয়েকজন যুবক এসে অতর্কিতে ক্যামেরাম্যানকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া বাড়ির বাইরে তারা গাড়িচালককেও মেরে আহত করেছে।
কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছেন ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন। তিনি বলেন, ‘দাদার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে এসে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কথাবার্তা বলছিলাম। এ সময় কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। তার বাহিনী আমার ক্যামেরাম্যান ও গাড়িচালককে মারধর করেছে। গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়কে দায়ী করে শহীদ এম. মনসুর আলীর ছোট ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘ব্যারিস্টার রিপন হলেন মনসুর আলীর নাতি। তিনি দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আসেননি। তাহলে তার ওপর এই হামলা কেন?’
ঘটনার দায় অস্বীকার করে কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা বাইরে ছিলাম। ব্যারিস্টার রিপন তিন গাড়ি ডিবি ও পুলিশ সদস্য নিয়ে এসেছেন। আমরা ভেতরে যাইনি।’
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন। তার ক্যামেরাম্যানকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘সীমান্ত বাজার এলাকায় কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।’