X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

রাঙামাটি প্রতিনিধি
৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৮আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩২

রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা (১৯)। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জেলা শহরের রাজবাড়ী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সহপাঠীরা বলছেন, পূর্ণিমা সম্প্রতি বাসা পরিবর্তনের কথা বলছিল। তার মৃত্যুর পেছনে কোনও রহস্য আছে।  

শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পূর্ণিমার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান তালুকদার জানান, গতকাল এক কলেজ ছাত্রীকে জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ (শনিবার) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বগাখালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে পূর্ণিমা চাকমা (১৯)। পড়াশোনার জন্য তিনি শহরের রাজবাড়ী এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার এসআই মো. রমজান আলী জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে যে বাসায় মেয়েটি থাকতেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি অবহিত আবেদন থানায় জমা দিয়েছে।

অবহিতপত্রে আবেদনকারী নিকিতা দেওয়ান উল্লেখ করেন, পূর্ণিমা চাকমা দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ২৯ অক্টোবর সকালে আমার বাসায় ফিরে আসে। তার আরেক পরিচিত গান্ধী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গান্ধী পূর্ণিমার রুমে গেলে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। আমি দ্রুত রুমে গিয়ে নামিয়ে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে পূর্ণিমা চাকমার সহপাঠীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, পূর্ণিমা পড়াশোনার সুবাদে রাঙামাটি জেলা শহরে বসবাস করতেন। জুরাছড়ির মেয়ে হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সে নতুন করে বাসা বদলানোর কথা বলতো। তবে মেয়েটির সঙ্গে ‘বড় কোনও অন্যায়’ করা হয়েছে। সে যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেই বাসার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং তার মোবাইল কলরেকর্ড চেক করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
কাতারের আমিরের সফররাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট