X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

দুর্বোধ্যতার দণ্ডে দণ্ডিত কবি

মোহাম্মদ আব্দুর রউফ
৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৬:০৬আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৬:০৬

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০) কলকাতা বাণারসীতে এক বিত্তবান বাঙালি পরিবারে জন্মেছিলেন। পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মাতা ইন্দ্রমতি বসু মল্লিক। বাল্যশিক্ষা ঘটেছিল কাশীতে। পারিবারিক ও দৈশিক রীতি অনুসারে পুত্রকে হীরেন্দ্রনাথ সংস্কৃত শিক্ষায় সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেইসঙ্গে ইংরেজি। অ্যানি ব্যাসান্ট প্রতিষ্ঠিত স্কুলে ভাষাদুটিতে বিস্তর চর্চা করেছিলেন সুধীন। বাঙালি পরিবারের সন্তান হলেও বাল্যবেলায় সুধীন বাংলার প্রতি যত্নশীল ছিলেন না। হয়তো-বা পরিবারও চায়নি। কলকাতায় এলে সুধীন মায়ের সঙ্গে হিন্দিতেই বাক্যালাপ করতেন। মাতৃভাষা আয়ত্তে আনতে সুধীনের বেশ সময় লেগেছিল। ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ও স্কটিশ চার্চ কলেজে অধ্যয়ন শেষে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইংরেজি)। কিন্তু পরীক্ষায় বসেননি। আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করলে সেখানেও পরীক্ষায় বসেননি। আইনজীবী বাবার ল ফার্মেও মনোনিবেশ করতে পারেননি। শিক্ষাজীবনের এই উদাসীনতা অথবা অস্থিরতা কর্মজীবনেও খানিকটা বিস্তৃত হয়েছিল। নানাবিধ কর্মে সম্পৃক্ত হলেও কোনোকর্মে দীর্ঘকাল একনিষ্ঠতার সঙ্গে লেগে থাকতে পারেননি সুধীন। মৃত্যুর পূর্বে বছরখানেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তবে সুধিজনের কাছে সুধীনের পরিচয় সম্পাদক হিশেবে। পরিচয় (১৯৩১) পত্রিকার সম্পাদক। প্রায় একযুগ পত্রিকাটির সম্পাদনাকর্মে একনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। বঙ্গ-কাব্যসাহিত্যের আধুনিকায়নে পত্রিকাটির ইতিবাচক অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণযোগ্য।

২.

আস্তে আস্তে পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরে সুধীনের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যিক বিশ্বাস ও বলয় তৈরি হতে থাকে। পিতার ‘বৈদান্তিক আতিশয্য’ সুধীনের ভালো লাগেনি, ভালো লাগেনি বৈষয়িক বিত্তবৈভবও। তিনি চাইলেই আইনজীবী অথবা রাজনীতিবিদ হতে পারতেন। পারতেন সময় ও সমাজের উচ্চতর পদপদবি লুফে নিতে। সেই সুযোগ ও সামর্থ্য তার ছিল। কিন্তু সুধীন গেলেন অন্যপথে। পাশ্চাত্য বিদ্যা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও দর্শনচর্চায় আত্মনিবেদন করলেন। সুধীনের পঠনপাঠনের পরিধি ও বোধবুদ্ধির গভীরতার ছিল অসামান্য। অল্পবয়সে রবীন্দ্রনাথের (১৮৬১-১৯৪১) সঙ্গে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন (১৯২৯)। সঙ্গে ছিলেন ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭)। জাপান, মার্কিনমুল্লুকসহ য়ূরোপের একাধিক দেশ পরিভ্রমণ করেন একাধিকবার। মৃত্যুর দু-এক বছর পূর্বেও চতুর্থবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। নানা মনীষী ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে সুধীনের ব্যক্তিঅভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়। চিন্তাদর্শনেও আসে র‌্যাডিক্যাল পরিবর্তন। প্রথম জীবনের খাতায় অঙ্কিত ‘শ্রীশ্রীদুর্গামাতা সহায়’-এ আর আস্থা রাখতে পারেননি তিনি। মার্লামের নাস্তিক্য মতাদর্শে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছিলেন সুধীন।

৩.

পার্থিব সহায়সম্পত্তির ন্যায় ধর্মবোধও মানুষ অনেকটা উত্তরাধিকারসূত্রেই পায়। সুধীনও পেয়েছিলেন। কিন্তু ঐ ধর্মবোধ খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পদ্মপাতার জলের ন্যায় খুব দ্রতই ঝরে যায়। দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থ অর্কেস্ট্রাতেই (১৯৩৫) ঈশ্বর নিহত হওয়ার সংবাদ রাষ্ট্র করে দিয়েছিলেন তিনি। ‘বিস্মরণী’ কবিতায় তাকে লিখতে দেখি—‘উড়ায়ে মরুর বায়ে ছিন্ন বেদ-বেদান্তের পাতা / বলেছি পিশাচহস্তে নিহত বিধাতা।’ দার্শনিক মার্লামের চিন্তাপ্রভাবে সুধীনের ধর্মবোধে এসেছিল এই নাস্তিক্যবোধ। সুধীনের এই নাস্তিকতা সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ দশমী পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। নানা কবিতায় নানাভাবে ঈশ্বরকে সম্বোধন করেছেন তিনি। কখনো ‘য়িহুদির হিংস্র ভগবান’, কখনো ‘যাযাবর আর্যের পিতা’ কখনোবা ‘লুপ্তবংশ কুলীনের কল্পিত ঈশান’—এভাবে নানা বিশেষণ প্রয়োগে সুধীন ঈশ্বরের ঐতিহাসিকতার প্রতি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। তার ভাবনা, নানা সভ্যতার সঙ্গে নানা ধর্মের উদয় হয়েছে। সভ্যতার পতনে ধর্মেরও বিলয় ঘটেছে। ভগবান তার কাছে ব্যর্থতার প্রতীক। ভগবান অকল্যাণ—অসুরকে রোধ করতে পারে না। উল্টো অসুরকেই অমিত ক্ষমতাবলে ক্ষমা করে দেয়। অসহায়, অসুস্থ, অশক্ত-দুস্থদের কাতর প্রার্থনায় উদাসীন। ‘বুঝিবে কি সে দুর্দিনে—উদাসীন বিধাতার কাছে / তুল্যমূল্য আমাদের ধৈর্য আর আত্মবিস্মরণ।’ ঈশ্বরহীন পৃথিবীতে সুধীনের কাছে ধর্মের আনুষ্ঠানিক মূল্য ছিল না। দেউলে প্রার্থনা অথবা অভিযোগ-অনুযোগ দায়ের করা বৃথা। ধর্মপুরুষদের কর্মকাণ্ডও গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ঈশ্বরকে অস্বীকার করলেও কালকে অস্বীকার করেননি সুধীন। কালকে তিনি ‘বৈনাশিক’ বলে চিহ্নিত করেছেন। অর্জন অথবা বর্জন সবকিছুকে ধ্বংস করে দেয় এই কাল। কালের করালগ্রাস থেকে মুক্ত নয় কেউ। কাল তার কাছে শত্রু হয়ে হাজির হয়। ‘ভাগ্যগণনা’ কবিতায় সুধীন লেখেন—‘শত্রু নয় নিষ্ফলতা, শত্রু নয় আবশ্যিক ব্যথা / শত্রু শুধু নিরপেক্ষ কাল / মহাকাল / ভয়াল, বিশাল।’ কাল এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সমুদয় প্রাণ ও প্রাণীকে। মৃত্যু সুধীনের কাছে ধ্রুব সত্যসখা হয়ে দেখা দেয়—‘মৃত্যু, কেবল মৃত্যুই ধ্রুব সখা / যাতনা, শুধুই যাতনা সূচির সাথী।’ সুধীনের কাব্যচিন্তা হুমায়ুন আজাদের (১৯৪৭-২০০৪) কাছে দারুণ প্রশংসা পেয়েছিল।

৪.

তন্বী (১৯৩০) থেকে দশমী (১৯৫৬) পর্যন্ত সুধীন সাতটি কবিতাগ্রন্থ লিখেছেন। তার কবিতাভুবনের দিকে তাকালে দেখব, গতানুগতিক কাব্যপথ ও পন্থায় আস্থা ছিল না তার। রোমান্টিক প্রেমচেতনার ওপর কাব্যসৌধ নির্মাণ করতে চাননি তিনি। ‘আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে / অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে’—এই প্রকৃতির রবীন্দ্র-রোমান্টিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাকিয়েছিলেন যাপিত জীবন ও বিশ্ব সংসারের দিকে। প্রতিদিনের যাপিত জীবন থেকেই কবিতার উপাদান আহরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কবিকল্পনার চেয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাকেই মূল্য দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই তার কবিতা হয়ে ওঠে বাস্তবতার শিল্পফসল। এর মধ্যদিয়ে তিনি লোকায়ত জীবন, বহিপ্রকৃতি ও অন্তরাত্মার স্বরূপ সন্ধান করতে চেয়েছেন। শাশ্বত প্রেমচেতনায় সুধীনের আস্থা ছিল না। প্রেমকে নিজস্ব জীবনদৃষ্টি ও অভিজ্ঞতার আলোয় দেখতে চেয়েছেন। অপরাপর দশটি বস্তুর ন্যায় প্রেমও নশ্বর। প্রেমেরও আগমন-প্রস্থান আছে; আছে উত্থান-পতন, জোয়ার-ভাটা। নারীপুরুষের পারষ্পরিক সম্পর্ককে জৈবিক হিসেবেইে বিবেচনা করেছেন তিনি। স্বপ্ন ও কল্পনায় অভ্রভেদী স্বর্গীয় সোপানের চেয়ে বাস্তবের দৃশ্যমান প্রেমকেই গ্রহণ করেছেন তিনি। ‘নিরুপমা / আমি তো তোমার পরে করিনি নির্মাণ / অভ্রভেদী স্বর্গের সোপান / স্থাপিনি অটল আস্থা বিদায়ের দিব্য অঙ্গীকারে / ভাবিনি তোমারে / নিষ্ঠার প্রস্তরমূর্তি, অমানুষ, স্থবির, নিষ্প্রাণ / ভুলিনি তো তুমি মুগ্ধ নিমেষের দান।’ সুচেতনা, নীলাঞ্জনা, বনলতা, নীরা, কঙ্কাবতী, মাহফুজা অথবা এলোকেশীর ন্যায় নারীপ্রেমের উথালপাতাল সাগরে হাবুডুবু খাননি সুধীন। সুধীনের নিরুপমা সুধীনের কাছে কখনো ‘মুগ্ধ নিমেষের দান’ কখনো-বা ‘অজস্র দান’ হয়ে আসে। ‘অজস্র দান’ হয়ে এলেও রেখে যায় নেতির প্রমাণ। নিরুপমার ‘উদীর্ণ আবির্ভাবে’ও শূন্য রয়ে যায় কবিপ্রাণ। মিলনের মুহূর্তেও পূর্ণতা পান না সুধীন। তাই শাশ্বত প্রেমের সন্ধান সুধীনের কাছে মূল্যহীন। প্রেমের অস্থায়িত্ব ও নশ্বরতা সুধীনের কাছে কেবল সত্য নয়, ‘মহাসত্য’ রূপে দেখা দেয়। ‘মহাসত্য’ কবিতায় সুধীনকে লিখতে দেখি—‘অসম্ভব, প্রিয়তমে, অসম্ভব শাশ্বত স্মরণ / অসংগত চিরপ্রেম; সংবরণ অসাধ্য, অন্যায় / বন্ধদ্বার অন্ধকারে প্রেতের সন্তপ্ত সঞ্চরণ / সাঙ্গ করে ভাগীরথী অকষ্মাৎ বসন্তবন্যায়।’

৫.

সুধীনের কবিতা পড়তে গেলে মাঝেমধ্যে কিছু নতুন শব্দের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে যায় যেমন—গুলাল (আবীর), বিপ্রলব্ধ (প্রতারিত), পৃথুল (বিস্তৃত), কবোষ্ণ (অল্প গরম), ক্ষৌম (মসিনার তেল), ত্রিযামা (রাত্রি), বিচঞ্চল (অতিশয় অস্থির), প্রাবরণী (চাদর), প্ররোহ (অঙ্কুর), বিবিক্ত (জনহীন) ইত্যাকার শব্দ ও শব্দরাজি। এই প্রকৃতির সংস্কৃত শব্দ দেখে সুধীনের কাব্যভাষাকে দীপ্তি ত্রিপাঠি ‘আধুনিক বাংলা কাব্যপরিচয়’ (১৯৫৮) গ্রন্থে ‘দুর্বোধ্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই থেকে ‘দুর্বোধ্য’ শব্দটি সুধীনের গায়ে অক্টোপাসের মতো লেগে যায়। কিন্তু আদতেই কি তাই? একটু নিবিড়ভাবে খেয়াল করলে দেখব—সুধীনের কবিতায় এই প্রকৃতির শব্দসংখ্যা খুব একটা বেশি নেই। সব কবিতাগ্রন্থে সমভাবে আসেনি। এক একটি কাব্যগ্রন্থে বড়জোর আট থেকে দশটি হতে পারে। বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) দীপ্তি ত্রিপাঠীর অভিযোগ আমলে নিতে চাননি। তাঁর মতে— ‘সুধীন্দ্রনাথের কবিতা দুর্বোধ্য নয়, দুরুহ; এবং সেই দুরুহতা অতিক্রম করা যায় অল্পমাত্র আয়াসসাপেক্ষে।’ বুদ্ধদেবের ভাষ্যমত—অভিধানের শরণ নিলেই সহজেই সুধীনের কবিতার রস আস্বাদন করা সম্ভব। বিষয়টা অনেকটা তেমনি। নিজের কাব্যভাষা প্রসঙ্গে গদ্যলেখায় সুধীনকে লিখতে দেখি—‘যে দুরুহতার জন্ম পাঠকের আলস্যে, তার জন্যে কবির উপরে দোষারোপ অন্যায়।’ (কাব্যের মুক্তি) সুধীন মূলত সর্বজন-বোধগম্য করে কবিতা লিখতে চাননি। কবিতার বিষয়, ভাষা ও শৈলী নিয়ে তিনি মূলত ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে সামনে এগুতে চেয়েছিলেন তিনি। শব্দ নিয়ে সুধীন বেশ যত্নবান ছিলেন। ছিলেন অতীব পরিশ্রমী। তবে তার শব্দ-সফলতা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তবু নিজস্ব সুর ও স্বর নিয়ে কবিতাঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন বেশকিছু কাব্যকবিতা। অযুতনিযুত কবি ও কবিতার মাঝে সহজেই সুধীনকে চিহ্নিত করা যায়।

লেখাটি শেষ করতে চাই বুদ্ধদেব বসুর আরেকটি মন্তব্য দিয়ে। সুধীন সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন—‘বানান ও ব্যাকরণ বিষয়ে তাঁকে আমরা অভিধানের মতো ব্যবহার করেছি—আমার সমবয়সী বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যিনি উত্তরজীবনে বাংলা ও বাংলায় ব্যবহারযোগ্য প্রতিটি সংস্কৃত শব্দের নির্ভুল বানান জানতেন, এবং শব্দতত্ত্ব ও ছন্দশাস্ত্র বিষয়ে যাঁর ধারণায় ছিল জ্ঞানাশ্রিত স্পষ্টতা।’

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা