X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০৩০ সাল নাগাদ বন উজাড় বন্ধের অঙ্গীকার বিশ্বনেতাদের

বিদেশ ডেস্ক
০২ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৯আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৯

২০৩০ সাল নাগাদ বন উজাড় বন্ধের অঙ্গীকার করেছেন গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশ্বনেতারা। ১০০টিরও বেশি দেশের নেতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে এটিই প্রথম বড় ধরনের কোনও সমঝোতা। এমনকি আমাজন বনের একটি বড় অংশ কেটে ফেলেছে যেই ব্রাজিল তারাও এ বিষয়ে একমত হয়েছে।

জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পৃথিবীর ‘ফুসফুস’ যে বনভূমি, সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় এই চুক্তি হবে একটি মাইলফলক।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে ধরিত্রীকে বাঁচাতে বন উজাড় বন্ধের পাশাপাশি নতুন করে বন সৃজনের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন গ্লাসগোতে সমবেত বিভিন্ন দেশের নেতারা। বনভূমি রক্ষায় এক হাজার ৯২০ কোটি ডলারের তহবিল যোগানোর ব্যপারেও সম্মত হয়েছেন তারা। এই তহবিলের একটি অংশ ব্যয় হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধার, দাবানল নিয়ন্ত্রণ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়কে সহযোগিতার মতো খাতগুলোতে।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তবে একইসঙ্গে তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বন উজাড় নিয়ে ২০১৪ সালের চুক্তি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ফলে শুধু সম্মত হওয়াই নয়; বরং এর যথাযথ বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে।

গাছপালা যেহেতু কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করে সে কারণে বনভূমি ধ্বংস করে ফেলা হলে জলবায়ু পরিবর্তনে এর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সোমবার গ্লাসগোর সম্মেলন থেকে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন দিয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, কানাডা, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ডিআর কঙ্গোর মতো দেশগুলো। বন উজাড় বন্ধের আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকারে স্বাক্ষরের কথা জানিয়েছে তারা। বিশ্বের মোট বনভূমির ৮৫ শতাংশই এই দেশগুলোতে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে বিশ্বের সামগ্রিক বনাঞ্চলের একটা বড় অংশ রক্ষা করা সম্ভব।

এই দেশগুলোর পাশাপাশি ৩০টিরও বেশি বহুজাতিক সংস্থা বনবিনাশের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

বনবিনাশ বন্ধে রাজনৈতিক সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জলবায়ু ও বনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিমন লিউস। তবে তিনি বলেছেন, মাংসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে। এর একটি বড় অংশের যোগান আসে দক্ষিণ আমেরিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চল থেকে। সেখানে গবাদিপশু পালনের জন্য বন পুড়িয়ে জমি খালি করা হয়। মাংসের এই চাহিদা কিভাবে পূরণ করা হবে নতুন এই সমঝোতায় তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী
যুদ্ধে ব্যবহৃত অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ব্যয়ের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব ধরিত্রী রক্ষা দিবস আজনানা উদ্যোগ সত্ত্বেও বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা