X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেন হুমায়ূন

রুমা মোদক
১৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:১১আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:১১

হুমায়ূনের সাথে আমার পরিচয়, বোধকরি আমার অগ্রজ প্রায় কয়েকটি প্রজন্মের, সাদাকালো টিভিতে। সেই বালিকা বয়সে। নিজের ঘরে তখনো টিভি ঢোকেনি। কালেভদ্রে, উৎসব পার্বণে তখন রাতে পাশের বাড়ি গিয়ে টিভি দেখার অনুমতি মেলে। সেদিন রাতে শুধু অনুমতি মিলেছিলো নয়, পরিবারসুদ্ধ সবাই ঘরে তালা লাগিয়ে পাশের বাড়ি টিভি দেখতে গিয়েছিলাম শুধু কয়েকদিন ধরে প্রচারিত নাটকের বিজ্ঞাপনের নামের কারণে, 'শঙ্খনীল কারাগার'।

নাটকের এরকম নাম বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে অভিনব তো বটেই, ভীষণ কৌতূহলোদ্দীপক আর আগ্রহ জাগানিয়া। রাত কয়টা মনে নেই, তখন গভীর রাত বলেই বোধ হচ্ছিলো। আলো নেভানো অন্ধকারে ঘরভরতি মানুষের শুধু ফুঁফিয়ে কান্নার গভীরতর নিস্তব্ধতা ছাড়া আর কোনো আওয়াজ ছিলো না, সে কান্নায় ছিলো আমার কিংবা আমাদের মতো মানুষের অনুল্লেখ্য জীবন যা কিনা পড়ে ছিলো সাহিত্য-সংস্কৃতির মনোযোগ কিংবা ট্রিটমেন্টের বাইরে, সেই জীবনের প্রতিচ্ছবি হঠাৎ মিডিয়ার আয়নায় দেখে ফেলার বিস্ময়ে সেই যে হুমায়ূনে বাঁধা পড়ে গেল বাংলার মধ্যবিত্ত, আর অনেককাল মুক্তি মেলেনি তার। বাস্তবের সংশ্লেষে দেখা নিজেদের তীব্র তুমুল গভীর বিষাদ, যাতে এর আগে কেউ কোনো দিন আলো ফেলেনি হুমায়ূন ফেললেন, অহংকার কিংবা গ্লানি কিছুই অস্বীকার করলেন না। নির্মোহে বলতে লাগলেন। জহির রায়হান শুরু করেছিলেন তাঁকে শেষ করার অবকাশ দেওয়া হয়নি। হুমায়ূন আবার শুরু করলেন।

সেই ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এর রাতে নিজেদের ঘরে ফিরে কেউ কারো সাথে কথা বলেনি, সেদিন না, পরপর কয়েকদিন না। একটি নাটকের গভীর গোপন আষ্টেপৃষ্ঠে দখল করে নিয়েছিলো ঘরে ঘরে মানুষের নিস্তরঙ্গ, অনুচ্চ জীবন। সেই পাড়ার সবেধন নীলমণি একটি সাদাকালো টিভির যুগে, রেডিও বাংলাদেশ আর আকাশ বাণীর অনুরোধের আসরের ধূসর জীবনে এই নাটক ছিলো বিস্ময়ের পাড় ভাঙা ঢেউ। আমাদের চেনা জীবনকে সাদাকালো পর্দায় আবিষ্কারের বিস্ময়। নাটক এমনও হয়, আমাদের ঘরের প্রতিদিনের মতো, আমাদের মুঠোয় লুকানো গোপন বুঝি এভাবেও বলা যায়? সদ্য স্বাধীন দেশে গড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত, যারাই হয়ে উঠতে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ, তাদের জীবনের সম্ভাবনা সংকটের বিশ্বস্ত ভাষ্যকার হয়ে উঠতে যাচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদ। এ ছিলো অবশ্যম্ভাবী, অনিবার্য আগমন একজন লেখকের। সংখ্যাগরিষ্ঠ জীবনের বিশ্বস্ত ভাষ্যকার।

বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রায় প্রাথমিক কালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত সেই নাটকটি ছিলো নানা হতাশা আর আশার যুগপৎ সম্ভাবনাময় মধ্যবিত্তের নিস্তরঙ্গ জীবনে এক তীব্র ঢিল। বাস্তবিকই নাটক দেখে স্তম্ভিত সদ্য গড়ে উঠতে থাকা মধ্যবিত্ত তখন ভেবেছিল, এই রুনুঝুনু এরা তো আমাদেরই ঘরের মেয়ে, আমাদের মেয়েদের জীবন তো এমনই সংকটে হাবুডুবু খায়!

আজ সাহিত্যিক হুমায়ূনকে নিয়ে যে হৈহৈরৈরৈ, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তাঁর প্রবেশ কিন্তু সেই নাটক ‘শঙ্খনীল কারাগার’ দিয়ে। আমার মতো অনেকের প্রথম আবেগ এই ‘শঙ্খনীল কারাগার’। রুনুর আঙুলে উড়না প্যাঁচানো কিংবা রুনুর বাবার অসহায় অশ্রুসিক্ত দৃষ্টি বহুকাল আমাদের আপার গায়ের ঘ্রাণ আর বাবার মুখের ভাঁজের সাথে সেই যে জড়িয়ে গিয়েছিলো, আজও তা অবিচ্ছেদ্যই রয়ে গেছে।

‘নন্দিত নরক’ তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিলো মনোযোগী পাঠকের। আজ যখন তিনি ইতি টেনেছেন তাঁর পার্থিব জীবনের, তখন দাঁড়িয়ে আমরা যদি কাউকে হুমায়ূন পড়া শুরু করতে বলি, কোন বইয়ের নাম বলব? অবধারিতভাবে 'শঙ্খনীল কারাগার' আর 'নন্দিত নরকে'। অন্য কারো কথা জানি না, আমি নিশ্চিতভাবে এ দুটোই বলব। এবং সেই তালিকা দীর্ঘায়িত করার স্বার্থে ১৯৭১, মধ্যাহ্ন, সাজঘর, আমার আছে জল ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি। সেই যে শঙ্খনীল কারাগার আর নন্দিত নরকে দিয়ে আমাদের প্রত্যাশাকে উসকে দিয়েছেন তিনি, তারপর পাঠকের প্রত্যাশা ছিলো বন্ধনহীন। কিন্তু তারপর সাহিত্যজগতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

আজ বাস্তবিকই হুমায়ূন আহমেদের অনুপস্থিতির অনতিদূরে দাঁড়িয়ে হুমায়ূনকে নিয়ে কথা বলার দুইটি বিপদ। প্রথমত হুমায়ূন আহমেদের তীব্র অন্ধ কিছু সমর্থক, যারা তাঁর সম্পর্কে অর্থাৎ তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সমালোচনার সহ্য করে না বরং তেড়েফুঁড়ে আসেন। আরেকদল আছেন, যারা তাঁকে নিয়ে কথাই বলেন না, একেবারেই উপেক্ষা করেন বরং তাচ্ছিল্য করেন।

হুমায়ূন কী হতে পারতেন, কী হতে পারেননি। কেন হলেন না, যা হয়েছেন তাই-বা কজন পারেন ইত্যাদি মূল্যায়নধর্মী আলোচনায় আমাদের আবশ্যিক দুটো সত্য স্বীকার করতেই হবে। প্রথমটি হলো, সুনীল-সমরেশ-শীর্ষেন্দুর বিরাট বাজারকে তিনি একা বাংলাদেশমুখী করেছেন। আর দ্বিতীয়টি এখনো পর্যন্ত জনপ্রিয়তায় তাঁকে স্পর্শ করার মতো সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে জন্ম নেননি। এবং আজ সাহিত্যের ক্রমবিবর্তনমূলক অবস্থানে দাঁড়িয়ে হুমায়ূনকে অস্বীকার করার কোনো উপায় এখনো তৈরি করতে পারেনি সমকালীন সাহিত্য অর্থাৎ পাঠক রুচির অনুগামীতায় হুমায়ূনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ এখনো আমরা দেখতে পাইনি।

বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির জগতে হুমায়ূন আহমেদের আগমন বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি যখন শঙ্খনীল কারাগার লিখছেন, নন্দিত নরকে লিখছেন তখন বাঙলাভাষাভাষী পাঠক নড়েচড়ে বসছে। এই দুই উপন্যাস লেখার পর দীর্ঘ বিরতি শেষে তিনি যখন পুনরায় ফিরলেন, তখন বাংলা সাহিত্যের পাঠক সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গমুখী। বাংলা সাহিত্যে যা লেখা হচ্ছে তার প্রবণতা প্রান্তিক দারিদ্র্যের ভাষ্য নির্মাণ কিংবা গন্তব্যহীন এলেবেলে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য যেখানে শান্ত স্থিত প্রবাহিত। হুমায়ূন এর কোনো পথেই হাঁটেননি। তিনি নিজস্ব পথ তৈরি করেছেন। এবং নিজস্ব নির্মিত পথে হেঁটেছেন। এই নিজস্ব পথ নির্মাণই হুমায়ূনকে হুমায়ূন করেছে। তিনি নিজেকে বলতেন গল্পকথক। আগাগোড়া গল্পই বলে গেছেন তিনি। বলে গেছেন এমন কিছু মানুষের গল্প, যারা আমাদের খুব চেনা। আমাদের ভাই, বোন, বন্ধু, কাকা, মামা, বাবা, মা এমনকি ঘরের সহকারী মেয়েটি পর্যন্ত। তিনি তাদের চরিত্র নির্মাণ করছেন, কিন্তু নির্মাণকালে ভেঙে দিচ্ছেন স্টেরিওটাইপ। আমাদের চেনা মানুষগুলো তাঁর কলমে হয়ে উঠছেন অচেনা, অথচ কাঙ্ক্ষিত। এক অভূতপূর্ব সেন্স অব হিউমার চরিত্রের অবিশ্বাস্য কাণ্ডকারখানা বিশ্বাস্য করে তুলছেন জাদুকরের মতো, যেমন একজন জাদুকর কার্পেটসহ উড়িয়ে দেন মঞ্চে দেখা রক্তমাংসের নারীকে, তেমনই হুমায়ূন তাঁর চরিত্রগুলো দিয়ে করিয়ে দিচ্ছেন এমন কিছু কাজ, যে কাজগুলো করার আকাঙ্ক্ষা যেন আমাদের অবচেতনে সুপ্ত ছিলো। এই নির্মাণ এর ক্ষেত্রে তিনি তাঁর সৃজন প্রতিভার নিজস্বতাকেই শুধু সহযাত্রী করেছেন। একেবারে মাটি থেকে উঠে আসার অভিজ্ঞতার সাথে সংযোগ ঘটেছে গভীর অন্তর্দৃষ্টির। সাথে যুক্ত করেছেন অভাবনীয় স্যাটায়ার।

কিন্তু শুরুতে ‘নন্দিত নরক’ এবং ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য প্রত্যাশায় যে আলো জ্বালিয়েছিলেন, বুঝি তিনি মুসলিম সমাজের একজন শরৎচন্দ্র হয়ে উঠতে যাচ্ছেন, বুঝি ‘আবদুল্লাহ’র মতো মুসলিম মধ্যবিত্তের সংকট, টানাপড়েন, ভণিতা, ভাণ, আত্মপ্রতারণা আর সম্ভাবনার বিশ্বস্ত কথাকার হয়ে উঠতে যাচ্ছেন একজন হুমায়ূন। যেমন হয়ে উঠেছিলেন শরৎচন্দ্র হিন্দু সমাজের, উনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে।

কিন্তু তিনি সে পথ পরিত্যাগ করে জনপ্রিয়তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেন। তাঁর হাতে ধরা দিলো অর্থ, বিত্ত, খ্যাতি। কী নয়? মূলত যে চরিত্র বা যে ঘটনা তাঁর উপন্যাসের ভূগোল বিস্তৃত করেছে তা আমাদের একান্ত পরিচিত। আবেগ কিংবা অন্ধকার, দুটোই অকপট বলেছেন অভূতপূর্ব ভঙ্গিতে। যাঁর সাথে পাঠকের পরিচয় ছিলো না। পাঠক চাঁদ দেখেছেন, দেখেছেন চরাচর ভেঙে যাওয়া জোছনা কিন্তু আসমান ভাইঙ্গা যে জোছনা পড়েছে পাঠকের উঠোনে, তার রূপ পাঠক দেখেছে হুমায়ূনের দৃষ্টিতে, হুমায়ূনের দৃষ্টিতে পাঠক দেখেছে বর্ষার প্রথম দিনের ঘন কালো মেঘ। রূপার বাসার সামনে তীব্র দুপুরে হলুদ পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে থাকা উন্মাদ প্রেম পাঠক শিখেছে হুমায়ূনের কাছে। হুমায়ূন আর অনুসন্ধিৎসু পাঠকের দায় নিলেন না, বরং প্রজন্মের স্বপ্নালু, ঘোরলাগা প্রেমিক হৃদয়কে উদ্বেলিত করলেন, এবং জয় করলেন। একটি জাতির বিশাল জনগোষ্ঠী যে তারুণ্য তাঁকে আমূল নাড়িয়ে দিলেন তিনি। সমালোচক বলেন বটে, যে শক্তিমত্তা তাঁর কলমের, তিনি সমাজটাকেই নাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। কিন্তু সে প্রত্যাশার দায় আমরা তাঁর উপর চাপাই কোন ব্যাকরণে? লেখক তো শুধুই তাঁর নিজের কাছে দায়বদ্ধ। সবাই ‘এনিমেল ফার্ম’ লেখার তাড়ায় তাড়িত হবেন কেন, সেই প্রত্যাশাকেই আমরা যৌক্তিক অভিধায় অভিহিত কেন করব?

পরবর্তীতে আকাশসম জনপ্রিয়তায় তিনি প্রায়শই রাতারাতি একাধিক উপন্যাসও লিখেছেন। ফলে চরিত্র ঘটনায় ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এবং এই পুনরাবৃত্তিতে চরিত্রের সংলাপ, আচরণে তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রীতি যাকে আমরা বলছি হুমায়ূনীয় রীতি। এবং বলা বাহুল্য এই হুমায়ূনীয় রীতির ব্যর্থ অনুকরণ করে চলছে এখনো লেখক নাম্নী অনেক অনুকরণকারী। কারণ পাঠক ধরে রাখার যে অপূর্ব কৌশল জানা ছিলো তাঁর, যা সম্পূর্ণ তাঁরই মেধাসঞ্জাত সম্পদ। সহজাত কিংবা গিফটেড। ফলে নানা চেষ্টা তদবির করেও পাঠক তৈরিতে তার তুল্য এখনো কেউ হয়ে ওঠেননি। এই বিষয়টি মূলত একটি বার্তা দেয়, পাঠক তৈরিতে সাহিত্যে নিজস্ব ভাষা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। তবে তাঁকে শুধু সাহিত্যকর্ম দিয়ে বিবেচনা করা ভুল। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তাঁর যে নাটকগুলো সেগুলো সাহিত্য কর্মকে ছাপিয়ে যায়, হুমায়ূনের মূল্যায়নে সেগুলি বিবেচনা না করলে হুমায়ূন খণ্ডিত থেকে যান।

হুমায়ূন টিকে থাকবেন কি থাকবেন না এই বিবেচনা সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বলি, নালন্দাও একদিন আগুনে ছাই হয়ে যায় সভ্যতার বিপুল বিশাল ক্ষতিকে মেনে নিয়ে, যে কোন কারণে ধ্বংস তো হয়ে যায় আফগানিস্তানের বৌদ্ধ মূর্তি। ব্যাবিলন ছাই, এশিরিয়া ধুলো।

কী থাকবে আর কী থাকবে না এই ভবিতব্য অনিশ্চিত। কিন্তু এই সময়ে গত দুই যুগ তো বটেই আর অনাগত কয়েক যুগেও হুমায়ূনকে অস্বীকার করা অসম্ভব।

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া