X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

দলবেঁধে সৈকতে খেলায় মেতেছে ডলফিন

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯:২০আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯:২০

একবছর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ডলফিনের নাচ দেখা গেছে। শুক্রবার ও শনিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে সৈকতের কাছাকাছি ডলফিনের নাচ দেখা যায়। সূর্যের আলোতে সৈকতের লাবনী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সীমানায় দাপাদাপি করেছে ডলফিনগুলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের কুয়াশা ছেদ করে সূর্য রশ্মি ঢেলেছে সাগরের নীল জলে। এ সময় সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে না। এ সুযোগে সৈকতের লাবনী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সমুদ্রে দেখা মিলেছে ডলফিন পালের। কখনও দু’একটা করে, কখনও দলবেঁধে সাগরজলে খেলায় মেতেছে ডলফিন।

শুক্রবার সকালে ডলফিনের নাচের দৃশ্য ধারণ করেন সৈকতের জেটস্কিচালক সোনামিয়া। ১৩ মিনিট ধরে ডলফিনের নাচ ধারণ করেছেন তিনি।

জানতে চাইলে সোনামিয়া বলেন, শীত মৌসুমে মাছ চলে আসে সাগরের কিনারায়। তাই ডলফিনও মাছ শিকারে আসে। শুক্রবার ও শনিবার সমুদ্র পাড়ে খেলায় মেতেছে ডলফিনগুলো।

দলবেঁধে সাগরজলে খেলায় মেতেছে ডলফিন

স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, গত বছর লকডাউনের সময় সমুদ্রসৈকতে কিছু ডলফিনকে খেলা করতে দেখা যায়। এরপর উধাও হয়ে যায়। গত দুই দিন সমুদ্রসৈকতে ডলফিনের বিচরণ দেখা গেলো।

উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় জেলে সোনারপাড়া এলাকার ফরিদ মাঝি বলেন, মাছ ধরতে গেলে গভীর সাগরে মাঝেমধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিনের দেখা মেলে। বিশেষ করে শীত মৌসুমের শেষের দিকে ডলফিনের দল সাগরে ঘুরে বেড়ায়। দুই-তিন বছর আগেও একবার এসব ডলফিন উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তবে সবসময় এদের দেখা যায় না।

রামু পেঁচার দ্বীপ এলাকার জেলে রুহুল আমিন বলেন, ‘সাগরে ডলফিন নতুন কিছু নয়। তবে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। গত বছরও হিমছড়ি এলাকায় সাগর উপকূলের কাছাকাছি ডলফিন দেখেছি। সাগরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানিতে ডলফিনের দল সাঁতরে বেড়ায়।’

সমুদ্রসৈকতে ডলফিনের বিচরণ দেখা গেলো

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, স্তন্যপায়ী এই প্রাণী বহু জাতের হয়। তবে সমুদ্র উপকূলে যা দেখা যায়, তা মূলত শুশুক জাতের ডলফিন।

তিনি বলেন, ডলফিন মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানিতে বিচরণ করে। ফলে স্বচ্ছ পানিতে এসব স্তন্যপায়ী প্রাণী খেলায় মেতে ওঠে।

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও মহেশখালীর বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে দুটি ডলফিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। একেকটি পরিবারে ১০-১২টির বেশি ডলফিন থাকে। সাগরে মূলত তারা দলবেঁধে চলাফেরা করে। বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে প্রতিনিয়ত তাদের দেখা মেলে। যেহেতু নিরিবিলি স্থান পছন্দ করে, সেহেতু সাগরের জনমানবহীন নীরবতার সুযোগে লাবনী পয়েন্টে চলে এসেছে ডলফিনগুলো।’

/এএম/
সম্পর্কিত
ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ
বেড়িবাঁধ সংস্কারে বন উজাড়, ঝুঁকিতে উপকূল
সর্বশেষ খবর
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
খারকিভে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আহত ৬
খারকিভে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আহত ৬
গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে মানতে হবে এই ৮ টিপস
গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে মানতে হবে এই ৮ টিপস
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা