বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অঞ্চল নিয়ে প্রতিটি বড় শক্তির আগ্রহ থাকলেও একক কোনও শক্তির আধিপত্য চায় না বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা একক আধিপত্য চাই না।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কোনও বিশেষ গোষ্ঠী বা একক দেশের আধিপত্য চায় না বাংলাদেশ এবং এটিই দেশটির প্রধান নীতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কেউ যদি বলে এখানে কোনও গ্রুপিং করবে, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলি ভারত মহাসাগরকে ওপেন, ফ্রি, ইনক্লুসিভ, পিসফুল হিসেবে দেখতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রধানমন্ত্রীর প্যারিস সফর বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে।
তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক আলোচনা এখন উদ্ভব হচ্ছে।
আইওরাতে ইন্দো-প্যাসিফিক
সোমবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ার ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) বৈঠক এবং ১৭ নভেম্বর মন্ত্রী সম্মেলন হবে। এবারে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনা হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
সচিব বলেন, ‘আইওরাতে এর আগে এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে এবারের বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন নিয়ে আলোচনা হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলম এ বিষয়ে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের আগ্রহ আছে। কিন্তু আমরা চাই আইওরা গোটা ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন ঠিক করুক।
ভিশনে যে বিষয়গুলো বাংলাদেশ দেখতে চায় সেগুলো হলো, ফ্রি, ওপেন, পিসফুল, সিকিউর অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধারণা হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর শ্রদ্ধা রেখে সবাই যেন সমৃদ্ধি অর্জন করে এবং এ বিষয়টি আমরা আইওরাতে দেখতে চাই।