রাজশাহীর গোদাগাড়ীর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন—অসীম রেজা, মোস্তাক আহমেদ ওরফে মেজারা, শরীফ দুলাল ওরফে সেতু, জহির ও জহির। তাদের মধ্যে অসীম রেজা ও শরীফ দুলাল পলাতক। তাদের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর ধরমপুর এলাকায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ২২ জন। পরে তদন্ত শেষে আসামি হয় ৩৫ জন। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায়ে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চার জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১৫ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ৩৩ জন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এন্তাজুল হক।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ইসমাইল দেওপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে গেলে বাঁধা দিতে যান ইসমাইল।
এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।