গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালকসহ পাঁচ জন নিহত ও তিন জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া ঘাতক হানিফ পরিবহনের চালক সোলায়মান আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বগুড়ার মোকামতলা থেকে সোলায়মান আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোলায়মান আলী মানিকগঞ্জ জেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই মো. ফজলু রহমান বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় বাসচালক সোলায়মান আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. খায়রুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া চালক সোলায়মান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে গ্রেফতার চালককে আদালতে পাঠানো হবে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো এবং ওভারটেক করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে চালক সোলায়মান স্বীকার করেছেন। ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার পর নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বকচর-কালিতলা এলাকার ক্লোড স্টোরের সামনে ঢাকা থেকে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলে তিন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। এ সময় আহত হন সিদ্দিক মিয়া (৪০), মাজেদুল ইসলাম (৩০) ও খোকন চন্দ্র (২২) নামে আরও তিন জন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে নেওয়া হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
নিহতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়ার ব্যবসায়ী সুজন বিশ্বাস (৪০), মাদারদহ গ্রামের রিপন মিয়া (৩৫), ঘোষপাড়ার আশরাফ আলী (৭০), বকচর মাস্তা গ্রামের ইজিবাইক চালক সোহাগ (২২) ও কামারদহ গ্রামের আমিন টুকু মিয়া (৬৫)।
