চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিতে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড হয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। ১৫ মিনিট পর দু’পাশ থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ১৫ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে।
পালনকালে পাঁচ সাংবাদিক আহত হন। আহতরা হলেন দৈনিক জন্মভূমির দেবব্রত রায়, সময় টেলিভিশনের আব্দুল হালিম, যমুনা টেলিভিশনের আমির সোহেল, প্রথম আলোর সাদ্দাম হোসেন ও এসএ টিভির মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
নগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, ১২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর কোনও কথা ছাড়াই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসান রশীদ মিরাজসহ ১৫ জন আহত হন। আহতদের সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ হেদু, সোহাগ ও জামিরসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচরণ করেছে। তাদের আঘাতে নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ আমাদের দমাতে পারবে না। খুলনার জনগণ রক্ত দিতে প্রস্তুত। অনুমতি দেওয়ার পরেও পুলিশ আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তারা সমাবেশ শুরু করে। পরে সোয়া ১২টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, সমাবেশস্থল থেকে চার জনকে আটক করা হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয়টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।