পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) নুরুন নবী দুলাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পর স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার দুই স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেন দুলাল। এর পরপরই তার প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী দুলাল স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ছয় মাস আগে ১২ বছর চাকরি থাকতেও অবসর নেন। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পরে তিনি ও তার দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালান দুলাল। পরে গত রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। বৃহস্পতিবার তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
জানা গেছে, এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে দুলালের। তাই চাকরি ছেড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে সংশয় থাকায় নিজে ও দুই স্ত্রীকে দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করান। কারণ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করলে বহিষ্কার হতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজে নির্বাচন না করে স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন।
এ বিষয়ে নুরুন নবী দুলাল বলেন, ‘বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি। ভেবেচিন্তেই কাজটি করেছি। কোনও কারণে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই পরিবারের কেউ যাতে নির্বাচন করতে পারে, সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছি।’
খানমরিচ ও অষ্টমনিষার রিটার্নিং কর্মকর্তা রোকসানা নাসরিন জানান, স্বামীর সঙ্গে দুই স্ত্রীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনা বিরল। তবে এতে আইনগত কোনও বাধা নেই।