বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারাদেশে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দোয়া কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেতাকর্মীরা তার জন্য দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মসজিদে দোয়া করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও প্রার্থনা করেন।
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে দোয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার আয়োজন করে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি। দোয়া শেষে গেটের বাইরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রীকে একটি বানোয়াট মামলায় গত তিন বছর বিনা চিকিৎসায় কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। তার জন্য আমরা সারাদেশে দোয়ার আয়োজন করেছি। এরই অংশ হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেছি। একইসঙ্গে মন্দির–প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে যেসব বাধা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
জাতীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান জুমার নামাজের পর মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে বিএনপির উদ্যোগে আলাদা করে বিশেষ আরেকটি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেসারুল হক।
দোয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেছারুল হক। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
উভয় মোনাজাতে বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মীর সরফত আলী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জহির উদ্দিন স্বপন, আনিসুর রহমান তালুকদার, অঙ্গসংগঠনের রফিকুল আলম, ইশরাক হোসেন, আমিনুল হক, হাবিবুর রশীদ হাবিব, সাইফুল আলম, সুলতান সালাউদ্দিন, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, ২০–দলীয় জোটের শরিক এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।