পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশীদ বলেছেন, ‘হাওরের পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধের কাজ শুরু হবে।’ শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের জরিপ কাজ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের পাউবো মহাপরিচালক বলেন, ‘হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) নীতিমালা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে। গণশুনানির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে পিআইসি গঠন করে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। পিআইসি নীতিমালার পরিপন্থী কোনও কিছু হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রথম কিস্তির আগাম ৬৫ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। পিআইসি’র বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছে। হাওর এলাকার নদী খননের সমীক্ষা চলছে। সমীক্ষার কাজ শেষ হলে আবার নদী খনন করা হবে। নদী খনন করা হলে হাওরের পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে। এতে বাঁধ প্লাবিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। বাঁধ নির্মাণে মাটির সংকট কমবে। কয়েক বছর আগে হাওর এলাকার বড় বড় নদী খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হাওরে পানি থাকার কারণে বাঁধের প্রি-ওয়ার্ক জরিপ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। হাওরের পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার সাহা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার, সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও শামসুদ্দোহাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।