বগুড়ার ধুনটে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে রাসেদুজ্জামান সবুজ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে গত ২৮ নভেম্বর গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামছুল বারী শেখ বাড়ির পাশে জোড়খালি মাদ্রাসা কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) মাসুদুল হক বাচ্চু প্রতিবাদ করেন। তখন নৌকার প্রার্থী ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করলে বাচ্চুসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
বাচ্চুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোসাইবাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। হামলার ঘটনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বাচ্চুর ছেলে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে পরাজিত নৌকার প্রার্থী শামসুল বারীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অপরদিকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনের ভাই শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৪৫) মারধর করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেফ বাদশা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে চিকাশী ইউনিয়নে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজের মেয়ে জামাইকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে আলেফ বাদশাকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আব্দুল হাই খোকন বাদী হয়ে আলেফ বাদশাসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।