কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) দ্বিতীয়বর্ষের ৩২ শিক্ষার্থী ফরম পূরণের টাকা দিয়েও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলেজ সভাপতি ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এ বছর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রথমবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা।
এইচএসসি (বিএম) শাখার শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয়বর্ষে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। রৌমারী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ৩২ শিক্ষার্থী প্রথমবর্ষের পরীক্ষায় অটোপাস না পাওয়ায় দ্বিতীয়বর্ষের ফরম পূরণের টাকা দিয়েও প্রবেশপত্র পায়নি। এ নিয়ে গতকাল তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এবং শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ইউএনর মাধ্যমে স্মারকলিপি দেন।
এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ২৮ শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীরের গাফিলতির কারণে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চয়তায় পড়েন তারা। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ২৮ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে বুধবার জানা গেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৩২ জন।
ইউএনও আল ইমরান জানান, করোনা মহামারির কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু কলেজের ৩২ শিক্ষার্থী অটোপাস না পেলেও অধ্যক্ষ এ নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করেননি। এমনকি তিনি উল্টো ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের টাকা নেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানার, ৩২ শিক্ষার্থীর প্রথমবর্ষের প্রবেশপত্র এসেছে। বৃহস্পতিবার প্রথমবর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবেন তারা। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাঙ্গে যোগাযোগ করেও ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীদের দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারিনি। পরে আজ দুপুরে উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ শিক্ষকদের নিয়ে বসেছিলাম। সর্বসম্মতিক্রমে তারা প্রথমবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে।