X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্যই দরকার: ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:১১আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্যই দরকার বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ না করুক, তার (খালেদা জিয়া) যদি কোনও ক্ষতি হয়, এই দেশের জনগণ আপনাদের রেহাই দেবে না।’

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল’-এর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কাল বিলম্ব না করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে প্রেরণ করুন। অন্যথায় আপনারা এর জন্য সর্বাংশে দায়ী থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে এই সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না। অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে। আর কথায় কথায় বলে উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাস্তায় পড়ে থাকে মানুষ না খেয়ে, কৃষকরা তাদের ধানের দাম পায় না। আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের মজুরি পায় না। আমাদের নিম্নবিত্ত আরও নিম্নবিত্ত হচ্ছে। মধ্যবিত্ত আরও নিম্নবিত্ত হয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের সীমা আরও নিচে নেমে গেছে।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখানে মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়েছেন, তাদের রাইফেল একবার গর্জে উঠেছিল ১৯৭১ সালে, আরেকবার রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

 

/জেডএ/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পেছালো
আনু মুহাম্মদের সুস্থতা কামনায় মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই: মির্জা ফখরুল
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক