স্বামী জেলে থাকলে মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো স্ত্রী। স্বামী মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়ার পর পরিবারের অনেকেই অধিক আয়ের লোভে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। রাজধানীর পল্লবী থেকে বুধবার (১ ডিসেম্বর) ৭১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
গ্রেফতারকৃত তিন জন হলো, শাহাদাত হোসেন, মনি ইসলাম ও জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পরিচালক পারভীন আক্তার বলেন, ইয়াবার চালানগুলো তারা টেকনাফ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীতে এনেছে। তাদের চিহ্নিত বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে। যেখানে তারা গ্রাহকদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রাজীব মিনা বলেন, এই চক্রের মূল হোতা রাজু মোল্লা ওরফে সুজন মাদক মামলায় কারাগারে। স্বামীর অবর্তমানে ইয়াবা সরবরাহ এবং কারবারির বিষয়টি দেখভাল করতো স্ত্রী মনি ইসলাম। যদিও মনি গত ২৬ নভেম্বর কারাগার থেকে ছাড়া পায়। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সে আবারও মাদক ব্যবসার জড়ায়। কারাগারে থাকা রাজু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত একজন ইয়াবা কারবারি বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।