X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াসিরের কাছে চট্টগ্রাম টেস্ট ভয়-কষ্টের ‘মিক্সড ফিলিংস’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৫আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৫

টেস্ট দলে সুযোগ মিলেছিল অনেক আগেই। কিন্তু একাদশে সুযোগ হচ্ছিল না। অবশেষে ৯৫৫ দিন পর চট্টগ্রামে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় ইয়াসির আলীর। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু শাহীন আফ্রিদির একটি শর্ট বল হেলমেটে আঘাত হানতেই শেষ হয়ে যায় তার দারুণ এক ইনিংস। আজ (বৃহস্পতিবার) অনুশীলন শেষে অভিষেক টেস্টের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। অভিষেকের আনন্দের মাঝে মাথায় বলের আঘাত লেগে হাসপাতালে যাওয়া, তার কাছে ‘মিক্সড ফিলিংস’।

প্রশ্ন: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর ৯৫৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে, কেমন অনুভূতি?

ইয়াসির আলী: আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম টেস্ট খেলেছি। আমার জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে দলের সঙ্গে ছিলাম, ফিল্ডিং করেছি। কিন্তু ম্যাচ খেলা হয়নি। আমি বলতে চাই, এটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।   ঘরোয়া ক্রিকেটে চাপের মধ্যে যতই ভালো ব্যাটিং করি না কেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ দলকে এমন একটা পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা। আমার কাছে মনে হয়েছে, যখন আমি কাজটা করার চেষ্টা করেছি, তখনই...।

প্রশ্ন: শাহীন আফ্রিদির বলে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া কতটা হতাশার ছিল?

ইয়াসির: এটা অনেক হতাশাজনক ছিল। কারণ আমি যেভাবে ব্যাটিং করছিলাম, সেভাবে আরও কিছুক্ষণ ব্যাটিং করতে পারলে হয়তো দল আরও একটু ভালো পজিশনে থাকতো। ওইসময় নতুন ব্যাটারের কাজটা খুব সহজ ছিল না। কষ্ট তো লেগেছে, যখন দেখেছি আমি ফিরে যাওয়ার পর কেউ সেভাবে ব্যাটিং করতে পারেনি।

প্রশ্ন: হেলমেটে বলের আঘাতের পর কী ভেবেছিলেন?

ইয়াসির: আসলে একটু ভয় পেয়েছিলাম, কারণ মাথায় বল লেগেছিল। সত্যি কথা বলতে একটু ভয়ে ছিলাম।  আবার একটু কষ্টও পাচ্ছিলাম, আমার অভিষেক ম্যাচ, দলকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। ভয় ও কষ্টের একটা মিক্সড অনুভূতি।

প্রশ্ন: জাতীয় দলের সঙ্গে থেকেও দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক অভিষেক, মাঠে পারফরম্যান্স করা কতটা কঠিন ছিল?

ইয়াসির: এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক দিন দলের সঙ্গে থাকা হচ্ছিল, কিন্তু ম্যাচ খেলা হচ্ছিল না। আমি আগেও বলেছি, আমি যে জায়গায় ছিলাম এটাই অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। ওই জিনিসটা চিন্তা করেই নিজেকে মোটিভেট করতাম, ‘ইয়াসির তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যখনই সুযোগ আসে, তখন সেটা যেন তুমি কাজে লাগাতে পারো।’ এই চিন্তা সবসময় মাথায় ছিল। এছাড়া আমার চারপাশে যারা ছিলেন- কোচ, টিমমেট, বড় ভাই সবাই বলতেন, ‘রাব্বি তুমি কষ্ট করছো, যখনই সুযোগ পাবে, আমি জানি তুমি এটা কাজে লাগাবে।’

/আরআই/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ