ইউক্রেন সীমান্তে দিনকে দিন সেনা সমাবেশের বিস্তার ঘটাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিবেশী ইউক্রেনে ১ লাখ ৭৫ হাজার সেনা নিয়ে বহুমুখী আক্রমণের পরিকল্পনা সাজিয়েছে মস্কো। শুক্রবার এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
এতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা পুতিন সরকারের। এখন পর্যন্ত ইউক্রেন সীমান্তে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে ৯০ হাজারের বেশি রুশ সেনা।
মার্কিন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গোয়েন্দা নথির বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, পরিকল্পিত অভিযানটি একটি বহুমুখী আক্রমণ হতে পারে। নথিতে দেখা গেছে, রাশিয়া সীমান্ত এলাকার চারটি স্থানে বাহিনী মোতায়েন করছে। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই প্রতিবেদনের আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ইউক্রেন সীমান্তে ইতোমধ্যে ৯৪ হাজারের কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার রেড লাইন মানবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মস্কো তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে যে আক্রমণের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তা 'অত্যন্ত দুরূহ' করে তুলবেন বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। শনিবার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে ক্যাম্প ডেভিড সামরিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের বাইডেন আরও বলেন,‘ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো থেকে বিরত রাখতে আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। তা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ব্যাপক ও অর্থপূর্ণভাবে রাশিয়-ইউক্রেন সংকট মেটানো সম্ভব।’
উল্লেখ্য, রুশপন্থি গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিয়ে দনবাস এলাকা নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে মস্কো। রাশিয়ার পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রুশ কর্মকর্তা দিমিত্রি কোজাক-এর ভাষায়, ‘একটা গুলিও পায়ে নয়, মুখে চালানো হবে।’ এমন পরিস্থিতিতে মিত্র দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।