কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইসলাম। তিনি কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চাচা। এই নিয়ে তৃতীয় দফায় মেয়র হতে যাচ্ছেন তিনি।
এ ছাড়া এই পৌরসভায় চার কাউন্সিলর প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন, ৭নং ওয়ার্ডে বদির ছোট ভাই মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মনির, ৩নং ওয়ার্ডে এহতেশামুল হক বাহাদুর ও ৮নং ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান।
টেকনাফ পৌর নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এক মেয়র ও পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। ফলে নৌকার প্রার্থী মেয়র মো. ইসলামসহ চার কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার বিকালে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীর মো. শাহজাহান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর আগে ২৯ ডিসেম্বর বাছাইয়ের দিন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবদুস শুক্কুর ও মোহাম্মদ ইসমাইলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এখন এই পৌরসভায় মেয়র পদে আর কোনও প্রার্থী না থাকায় নৌকার এই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর পৌরসভার তিন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন নারী কাউন্সিলর ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য ২০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর এই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। এই পৌর নির্বাচনে ভোটার ১৩ হাজার ৮৫ জন। ২৬ ডিসেম্বর এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার বিকালে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল্লাহ মনিরের আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী রইলো না। তাই তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তার মতোই কাউন্সিলর পদে আরও তিন জনের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী মো. ইসমাইল তার প্রার্থিতা ফেরত পেতে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন বলে শুনেছি। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যাচ্ছে না।’