করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এটি অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় নিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের মতোই সুরক্ষার জন্য টিকা নিতে হবে, উপযুক্ত হলে বুস্টার ডোজ নিতে হবে এবং মাস্ক পরা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
খবরে বলা হয়েছে, সংক্রমণ নিয়ে এখন ওমিক্রন মনোযোগ আকর্ষণ করলেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর কারণ এখন পর্যন্ত উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ-এর পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ডেল্টাই এখন প্রকৃত ঝুঁকি। ওমিক্রন একটি অনিশ্চিত হুমকি। করোনাভাইরাসের ধরন যাই হোক না কেন কী করতে হবে তা সবাই জানে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এটি বেশি সংক্রামক কিনা বা এতে গুরুতর রোগ দেয় কিনা অথবা ইমিউনিটি এড়িয়ে যেতে পারে কিনা, যদি পারে তাহলে কতটা– এমন সব প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।
এসব বিষয়ে জানার আগে, ‘আমাদের সুরক্ষার জন্য আরও কয়েকটি স্তর যুক্ত করা প্রয়োজন’ বলে মনে ইনফেকশাস ডিজিজেস সোসাইটি অব আমেরিকার ড. জুলি ভাইশাম্পায়ান। ছুটির দিনে ভ্রমণ ও বিভিন্ন জনসমাগমে এমন পদক্ষেপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
সুরক্ষার এসব স্তরের মধ্যে একটি টিকার বুস্টার ডোজ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয় এই তৃতীয় ডোজ। এমনকি এই অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রমাণিত না হলেও ডোজ নেওয়া হলে সুবিধা থাকবে। একই সঙ্গে ডেল্টার বিরুদ্ধেও বাড়বে সুরক্ষা।
ড. জুলি ভাইশাম্পায়ান জানান, মাস্ক পরা, ভীড় এড়িয়ে চলা, ঘরে বাতাসের চলাচল বাড়ানো এবং পরীক্ষা হতে পারে সুরক্ষার আরেকটি পদক্ষেপ। করোনার উপসর্গ আছে কিংবা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা সম্ভাব্য সবার জন্য এই সুপারিশ কাজে লাগবে। এমনকি উপস্থিত হওয়া সবাই টিকা নিলেও এতে ছুটির দিনের জমায়েতেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে।