X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনার নেপথ্যে

বিদেশ ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:২৩আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:৩৮

ইউক্রেন সীমান্তে সম্প্রতি সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে রাশিয়া। মোতায়েন করা হয়েছে ভারী সামরিক যান। কিয়েভের দাবি, তাদের সীমান্তে ৯৪ হাজারের মতো সশস্ত্র রুশ সেনা অবস্থান করছে। রাশিয়ার এমন সামরিক তৎপরতাকে মস্কো কর্তৃক ইউক্রেন দখলের কূটকৌশল হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।

রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন অবশ্য জোরালোভাবে দাবি করছে, এমন কোনও উদ্দেশ্য তাদের নেই। উল্টো মস্কোর দাবি, নিজেদের আক্রমণাত্মক কৌশল ঢাকতেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার দিকে আঙ্গুল তুলছে।

সীমান্তের রাশিয়ার সেনা সমাবেশ বাড়ানো একটি আসন্ন আক্রমণের সূচনালগ্ন কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চাইছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেন ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করে।

সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র হওয়ার আগে কয়েক শতাব্দী ধরে ইউক্রেন রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের চার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একটি ছিল। ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটির এই ঘোষণা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে একটি বড় ভূমিকা রাখে।

স্বাধীন ইউক্রেন ক্রমেই তার রাশিয়ান সাম্রাজ্যিক উত্তরাধিকার ত্যাগ করতে থাকে। মস্কোর বদলে পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয় কিয়েভ।

ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সময়ের একটি ঘটনায় দেশটিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। রুশপন্থী এই নেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করলে দেশজুড়ে শুরু হয় গণবিক্ষোভ। উত্তাল বিক্ষোভের জেরে ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখল করে নেয় রাশিয়া। এছাড়া দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে শুরু করে মস্কো।

ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে সেনা ও অস্ত্র পাঠিয়েছে রাশিয়া। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগদানকারী রাশিয়ানরা মূলত স্বেচ্ছাসেবক।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহান্‌স্ক-এর সংঘাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এই অঞ্চলকে একত্রে ডোনবাস বলা হয়।

ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালের একটি শান্তি চুক্তি বড় ধরনের যুদ্ধ অবসানে সাহায্য করেছিল। কিন্তু একটি রাজনৈতিক সমাধানে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

২০২১ সালের গোড়ার দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়ে যায়। অন্যদিকে সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়। তৈরি হয় যুদ্ধংদেহী অবস্থা। তবে গত এপ্রিলে মস্কো তার বেশিরভাগ সেনাকে ফিরিয়ে নিলে উত্তেজনার পারদ কিছুটা কমে আসে। এখন সীমান্তে নতুন করে রুশ সেনা সমাবেশের কারণে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার অতীত বিবেচনায় উদ্বেগের কারণ রয়েছে। সূত্র: এপি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী
খারকিভে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আহত ৬
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা