চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও একটি অনলাইন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে প্রক্টর পরিচয়ে হুমকির অভিযোগ উঠেছে চবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছে চবি সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
এদিকে অভিযোগ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন হুমকিদাতা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর ১২ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে সময় আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তৌহিদুলকেও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে চবিসাস। চবিসাস সভাপতি ইমরান হোসাইন ও সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্না স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চবিসাস সদস্য ইফতে খায়রুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে প্রক্টর পরিচয়ে গালিগালাজ করে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। হুমকিদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। নাম তৌহিদুল ইমলাম চৌধুরী।
সম্প্রতি তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়। নিয়মানুযায়ী বহিষ্কৃত কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে জানতে পেরে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গত সোমবার আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ শাসমত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইফতে খায়রুল ইসলাম। পরদিন মঙ্গলবার সকালে চারটি ভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে প্রক্টর পরিচয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তৌহিদুল। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চবিসাসের এই সদস্য।
অভিযোগ স্বীকার করে তৌহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলেম প্রতিপক্ষের কেউ বিষয়টা জানতে চেয়েছে। তাই না বুঝে বড় ভাইকে এসব বলেছি। সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ কি জেনেশুনে সাংবাদিকের সাথে এমন করবে? আমি তার ও সমিতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।’
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী প্রক্টর পরিচয়ে কাউকে হুমকি দেবে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।