এক বিবৃতিতে ক্যাথরিন মাসুদ বলেছেন, এক ভয়ঙ্কর দিনে হারিয়ে যাওয়া তারেক, মিশুক ও অন্যদের জীবন পৃথিবীর কোনও আদালত ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাদের হারিয়ে যাওয়ায় আমরা অবর্ণনীয় কষ্ট পেয়েছি। তবে এই রায় আমাদের দুঃখের ক্ষতে কিছুটা হলেও সান্ত্বনার প্রলেপ দিতে পারবে।
অসাধারণ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ দিচ্ছি ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান ও মানিকগঞ্জের এপিপি আশরাফুল ইসলাম মনিকে। পুরো সময়টা কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সঙ্গে সহযোগিতা করায় ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে ক্যাথরিন বলেন, আমি আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, আপিলের পরও এই রায় বহাল থাকবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের সড়কে এ ধরনের বেপরোয়া হত্যার জন্য যারা দায়ী, তারা যে শাস্তির আওতার বাইরে নয়, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে এই রায়। আশা করি, এ ধরনের অপরাধের মামলায় এই রায় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। তাহলেই সড়কগুলো নিরাপদ থাকবে, আর আমরাও ভবিষ্যতে অনেক জীবন বাঁচাতে পারবো।
এই বিবৃতির পাশাপাশি এক ভিডিও বার্তায়ও রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্যাথরিন মাসুদ। ওই ভিডিও বার্তায় বাংলায় তিনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট যে আমরা অবশেষে বিচার পেয়েছি। বাংলাদেশের মহাসড়কে প্রতি বছর অকারণে অসংখ্য মানুষ তাদের জীবন দিচ্ছে। এবং আমাদের মতো আরও অসংখ্য পরিবার স্বজন হারাচ্ছে। আমি এই আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি, এই রায়ের কারণে ভবিষ্যতে সড়কে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে এবং আরও অনেকের জান বাঁচবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ, মাইক্রোবাস চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন। এ সময় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন।
/এএআর/এপিএইচ/