বৈঠকে অংশ নিতে নেপালের বাণিজ্য সচিব নায়ন্দ্র প্রসাদ উপাধ্যায়া’র নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় পৌঁছেছেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, বৈঠকে বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নেপাল স্থল বেষ্টিত হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে রেল এবং সড়ক পথে ট্রানজিটের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে নেপালের উৎসাহ রয়েছে।
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নেপালে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। বিপরীতে বাংলাদেশ নেপাল থেকে আমদানি করেছে ১১ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ট্রানজিট বাণিজ্য গড়ে তোলার লক্ষে গত বছরের ১৫ জুন যান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে।
দুদিনব্যাপী ওই বৈঠকে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ, উভয় দেশের পণ্য আমদানিতে পারস্পরিক শুল্ক সুবিধা প্রদান, কাকরভিটা-পানিট্যাংকি-ফুলবাড়ি বাণিজ্য পথ পুরাপুরি চালু, রোহনপুর-সিংবাদ রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্য পরিবহন, টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড দূর করার লক্ষ্যে সেনেটারি ও ফাইটো সেনেটারি ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বিজনেজ ভিসা সহজীকরণ এবং নেপালি নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশী ভিসা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
/এসআই/এসএনএইচ/