প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেলিম ওসমান বলেন, ২০১৬-১৭ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের ইতিবাচক অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন-প্রত্যাশী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নজর কেড়েছে। রূপকল্প-২০২১ এর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যআয়ের দেশে রূপান্তরের জন্য এই ধরনের বড় আকারের বাজেট প্রয়োজন।
বিকেএমইএ ২০১৬-১৭ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, খুব দ্রুত সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং পরবর্তী সময়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপরে আমাদের গবেষণালব্ধ তথ্য ও পরিসংখ্যানসমৃদ্ধ অভিমত দ্রুত প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানানো হবে। তবে এবারের বাজেটে উৎসে কর কর্তনের হার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের আশাহত, উদ্বিগ্ন এবং একইসঙ্গে এই শিল্পের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখোমুখি করেছে বলেও মনে করে বিকেএমইএ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিকেএমইএ। তবে এই হ্রাসকৃত করের হার এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত হারের তুলনায় অধিক এবং এই কারণে তা দেশের নিট খাতের সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনের ওপর ঋণাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে আগের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা করছে বিকেএমইএ। তাই নিট শিল্প খাতের জন্য উৎসে কর বর্তমানে চলমান ০ দশমিক ৬ শতাংশ বহাল রাখার এবং করপোরেট কর ১০ শতাংশের বেশি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া, অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রাদি এবং প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক পুরোপুরি উঠিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিকেএমইএ।
আরও পড়তে পারেন: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের হংকংয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
/এসআই/এমএনএইচ/