দুর্যোগে ৬ বছরে ক্ষতি সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালনানা দুর্যোগজনিত কারণে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রবিবার শেরে বাংলানগরে এনইসি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ জিজেস্টার: রিলেটেড স্যাটিসটিকস-২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য শিল্পোন্নত উন্নত দেশগুলো সিংহভাগ দায়ী থাকলেও সবচেয়ে ক্ষতির দায়  আমাদের বহন করতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্থবায়ন অপরিহার্য। 

তিনি আরও বলেন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ সেন্টিমিটার বাড়লে উপকূলের বিস্তৃর্ণ এলাকা সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, কিভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে এখন থেকেই আমাদের ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে।

পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী দেশের দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় খানা সংখ্যা ৪৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬১টি এবং দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার প্রধান ঘর ৭০ দশমিক ৩১ ভাগ কাঁচা, ১৭ দশমিক ৪৪ ভাগ অর্ধপাকা এবং ১ দশমিক ৯৫ ভাগ ঝুপড়ি।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বন্যা, সাইক্লোনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে প্রায় ১৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শস্য খাতে ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাণিসম্পদে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, পোল্ট্রিতে ১ দশমিক ২১ শতাংশ, মৎস খাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, জমিতে ২৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, বাড়িঘরে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং উঠানের গাছ পালায় ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ নম্বরে। বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইড নিরসণের প্রায় ৫৫ শতাংশের জন্য দায়ী মাত্র ৫টি দেশ। বাংলাদেশ খুব সামান্য কার্বন ডাই অক্সাইড নিরসণ করলেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।

/এসআই/এসএনএইচ/