বৃস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সম্পর্কিত দুটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী সফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্টি ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন।
চুক্তি অনুযায়ী, এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য। অর্থের ওপর বার্ষিক শূণ্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী সফিকুল আযম বলেন, এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক সহায়তা ১ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতির চুক্তি সই হচ্ছে।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, শহরগুলো এখন জিডিপিতে ৮০ শতাংশ অবদান রাখছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নগর দারিদ্র। নগরের আবাসন সমস্যার সমাধান এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হেলথ সেক্টর অর্থায়ন হিসাবে এ অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে হচ্ছে, জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন এজেন্ডা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ অর্জন ত্বরান্বিত করা, স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা
লো-ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা হল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। অবশিষ্ট ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল হতে ৩১ মার্চ ২০২০ সালে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্যে হল প্রকল্পভুক্ত পৌরসভার নগর এলাকার নির্ধারিত নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান এবং আনুষ্ঠানিক সেটেলমেন্টর মান উন্নয়ন করা।
প্রকল্পটি মোট ৫টি কম্পোন্টের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, কমিউনিটি মবিলাইজেশন অ্যান্ড প্লানিং এ কম্পোনেন্টের আওতায় প্রকল্প এলাকায বসবাসরত কমিউনিটির আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি ও পরিকল্পনা, পরিবেশ এবং সামাজিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদান করা হবে। আরবান কমিউনিটি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড আপগ্রোডিং, প্রকল্পে এলাকার অবকাঠামো এবং সেবাসমূহ উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নিদিষ্ট কমিউনিটির চাহিদা অনুযায়ী এ প্যাকেজে থাকবে পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, বিদ্যুৎ, পয়ঃনিস্কাশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেলটার লেনডিং সাপোর্ট, প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও এর মাধ্যমে আবাসনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের ব্রবস্থা করা হবে, যাতে কওে আশ্রয়ণ কার্যক্রম পরিচালনার আর্থিক ঘাটতি পূরণ করা যায়।
মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড হরিজোনটাল লানিং এই প্রকল্পের আওতায় স্বাধীন মনিটরিং লানিং এবং ইভ্যালুয়েশন এর ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়া হবে। ধারাবাহিক এবং চলমান পরিবীক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পের ফলাফল যাচাই করা হবে এবং সুবিধাভোগী নন তাদের তুলনা করার জন্য প্রকল্প শেষে এর প্রভাব মূল্যায়ন করা হবে।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রকল্পের আওতায় সক্ষমতা বাড়ানো, কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে কমিউনিটিসমূহের সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগের জন্য জাতীয় গৃহায়ন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, গৃহায়ন এবং পরামর্শ সেবা প্রদান এবং সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা হবে।
/এসএনএইচ/