বাংলাদেশ ছাড়ছে না অ্যাকর্ডভুক্ত পোশাক ক্রেতারা

অ্যাকর্ডসাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা ও কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার ভবন ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে এই ক্রেতা জোটের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েসের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১শ’ এর বেশি পোশাক শ্রমিক নিহত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করে ক্রেতা জোট অ্যাকর্ডের ইনডিটেক্স ও এইচঅ্যান্ডএমসহ দুই শতাধিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। যাদের অধিকাংশই ইউরোপের।

ইতোমধ্যে এই জোট বাংলাদেশের ১ হাজার ৬শ’ কারখানার প্রায় ৬৫ ভাগ নিরাপত্তা সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করেছে বলে রব ওয়েসের বরাত দিয়ে রয়টার্স’র ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।

রব বলেন, অ্যাকর্ড বাংলাদেশে যে কাজ করছে তা অন্য কোনও দেশে করা হয় না। সেফটি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিশ্চিত করতেই অ্যাকর্ড কাজ করছে। অনেক ব্র্যান্ডের জন্য বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো (তৈরি পোশাক) সরবরাহের ভিত্তি হতে পারে। এখানকার উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগত মান বাড়াতেও অ্যাকর্ড কাজ করবে বলে জানান রব।

এর আগে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাটে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আরেক ক্রেতাজোট অ্যালায়েন্সও এদেশ থেকে পণ্য কেনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হন, যাদের অনেকেই তৈরি পোশাকের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

ওই ঘটনার পর পোশাক বিক্রেতা ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর স্বত্ত্বাধিকারী জাপানের ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের সব ধরনের ব্যবসায়িক ভ্রমণ স্থগিত করে বলে খবর দেয় রয়টার্স।

/এসএনএইচ/