‘খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে জোর দেওয়া হচ্ছে’

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুদেশের সব জনগণের খাদ্য নিরাপত্ত নিশ্চিত করতে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবর রাজধানীর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর্স অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এর উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতের তালিকায় কৃষি বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্পকে শীর্ষে রাখা হয়েছে। এ শিল্পখাতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকার রফতানির বিপরীতে শতকরা ২০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে। নতুন করে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলোতে কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতা বিবেচনা করে এলাকাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানার খালি জায়গাতে কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে।’

অনুষ্ঠানে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উদ্যোক্তারা বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পখাত থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি সম্ভব। বর্তমানে কৃষিভিত্তিক এ শিল্পখাত থেকে বছরে ১ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রফতানি হচ্ছে।

এ শিল্পখাতে রফতানির প্রবৃদ্ধি ঘটাতে তারা স্বল্প সুদে ঋণ, কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র কারখানায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং সহজ কিস্তিতে শিল্প প্লটের মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) প্রেসিডেন্ট এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন প্রকল্প উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মোসলেম আলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম. ইসলাম, বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রোগ্রামের টিম লিডার আলী সাবেত, বিসিকের সাবেক পরিচালক মো. আবু তাহের খান, প্রশিক্ষিত তরুণ এসএমই উদ্যোক্তা আবদুর রহমান ও প্রিয়দর্শি চাকমা প্রমুখ।

/এসআই/এসএনএইচ/