ব্যবসায়ীদের চীন থেকে ফুল আমদানির আহ্বান

গোলাপ (প্রতিকী ছবি)বাংলাদেশের ফুল ব্যবসায়ীদের চীনের কুনমিং থেকে ফুল আমাদনির আহ্বান জানিয়েছেন চেংগং ডিস্ট্রিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র চেয়ারম্যান জু লিসু। তিনি বলেন, ‘চীনের কুনমিং অঞ্চল কৃষি ও ফুল চাষের জন্য আদর্শ স্থান এবং এ অঞ্চলে সারা বছর নানা ধরনের ফুলের চাষ হয়।’ বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র মিলনায়তনে ডিসিসিআই ও কুনমিং-এর বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় সভায় তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই আহ্বান জানান।

চীনের কুনমিংয়ের চেংগং নিউ ডিস্ট্রিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক লি রংহাউয়ের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সফরে এসেছেন।

সভায় চেংগং ডিস্ট্রিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র চেয়ারম্যান জু লিসু বলেন, ‘ভৌগোলিক দিক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের রয়েছে উর্বর সমতল ভূমি এবং এদেশের কৃষি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী।’ 

সভায় লি রংহাউ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত কার্যকর যোগাযোগ রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘চীন সরকার ‘ওয়ান ওয়ে-ওয়ান বেল্ট’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানো দরকার।’

তিনি বলেন, ‘চীনের কুনমিংয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে।’

এ সময় তিনি বাংলাদেশে ও চীনের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য এবং নতুন ব্যবসায়িক খাত নির্বাচনে বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর আরোও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় ডিসিসিআই সহ-সভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানী চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং প্রতিবছর বিপুল পরিমান বাংলাদেশি তরুণ ও দক্ষ শিক্ষার্থীরা এ খাতে নিয়োজিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনা ও বাংলাদেশী উদ্যোক্তাবৃন্দ জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য দুদেশের মধ্যে সরাসরি রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে।’

ডিসিসিআই পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আসিফ এ চৌধুরী, মো. আলাউদ্দিন মালিক, রিয়াদ হোসেন এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

/জিএম/এসএনএইচ/