‘ডেনমার্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় সরকার’

 

শ্রম-ও-কর্মসংস্থান-প্রতিমন্ত্রী-মুজিবুল-হকশ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘শিল্প কারখানায় মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে আস্থার সম্পর্ক তৈরিতে ডেনমার্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় সরকার।’




মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিটি উইনথারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডেনমার্কসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে সামাজিক সংলাপকে গুরুত্ব দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মপরিবেশের উন্নতির জন্য তাদের অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়ে ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শ্রমিক নেতারা একই প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ডেনমার্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘শিল্প কারখানায় খাত ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কথাও চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডেনমার্ক কারিগরী সহায়তা দেবে বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।’

তৈরী পোশাক শিল্পের কারখানা পরিদর্শন, ঝুঁকি নিরুপণ, কারখানা নিরাপত্তা দেখভালের বিষয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল-আর সি সি কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের পরে এর্কড-এলায়েন্সের আর প্রয়োজন পড়বে না বলে মন্ত্রী আশা করেন।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ডেনমার্কের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের কারখানার বর্তমান কর্মপরিবেশ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (আইএলও) খোন্দকার মোস্তান হোসেন এবং আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
/এসআই/এআর/