ওয়ালটন ই-প্লাজার যাত্রা শুরু

ওয়ালটন ই-প্লাজাই-কমার্স সেবাকে আরো গতিশীল করতে এবং দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আরও সহজে ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দিতে সারাদেশে ই-প্লাজা কার্যক্রম শুরু করলো ওয়ালটন। ফলে এখন  থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকরাও ঘরে বসেই ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড অথবা ওয়ালেটমিক্স মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন-লাইনে অর্থ পরিশোধ করে সহজেই কিনতে পারবেন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব পণ্য। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা অন লাইনে পণ্য কিনে বাংলাদেশের যে কোনও ই-প্লাজা স্টোর থেকে পণ্য বুঝে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি, ওয়ালটন ই-প্লাজার মাধ্যমে পণ্য কিনে গ্রাহকরা ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টসহ শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধাও পাবেন।

গত রবিবার রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে ও গাজীপুরের চন্দ্রায় একযোগে চালু করা হয়েছে দুটি ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ওয়ালটন ই-প্লাজা’র। প্রাথমিকভাবে দুটি স্থানে ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হলেও, এ বছরের মধ্যেই দেশের সমস্ত জেলা শহরেই ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করেন। চালুর পর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে এই ই-কমার্স সাইট। প্রতিমাসেই উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে পণ্য বিক্রির পরিমাণ। এমনকি অতি দ্রুত উঠে আসে দেশের অন্যতম শীর্ষ ই-কমার্স সাইটের তালিকায়। অনলাইনে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে এতোদিন ওয়ালটন প্লাজা থেকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হতো। কিন্তু এখন থেকে ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া হবে। 

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপের সহকারি পরিচালক ও ই-প্লাজার ইনচার্জ মো. মুক্তাদির বিল্ল্যাহ বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আসছে ওয়ালটন। তবে এবার গ্রাহকরা যাতে আরও সহজে ওয়ালটন পণ্য পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে চালু করা হলো এই কার্যক্রম। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও সহায়ক হবে।’ 

তিনি আরও জানান, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলাতে ওয়ালটনের ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ক্রেতারা ওয়ালটনের নতুন এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

ওয়ালটন আইটি বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ‘গ্রাহকদের হাতের নাগালে উচ্চ মানের প্রযুক্তি পণ্য সহজে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ই-কমার্স সেবাকে আরও গতিশীল ও গ্রাহকবান্ধব করতেই ই-প্লাজা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছে আরও সহজে ও দ্রুত সময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব পণ্য।’

/এসএনএইচ/