রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পপাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ২২ হাজার ৫২ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে রাশিয়া দেবে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকার সময় ছোট পরিসরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন এটি ছিল ২০০ মেগাওয়াটের। সে সময় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে প্রকল্প পরিচালকও করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রকল্পটা থমকে যায়। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবারও উদ্যোগ নেয়। তবে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন রাশিয়ার সহযোগিতায় এটি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প। প্রকল্পটির নির্মাণ খরচ বেশি হলেও এর উৎপাদন ব্যয় কম। এ প্রকল্পে বছরে সবমিলে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব‌্যয়ের এই প্রকল্পে দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার চারশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে যে ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা চলতি অর্থবছরের পুরো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) চেয়ে বেশি। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয় সরকার।’

জানা গেছে, এ প্রকল্পটি  বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ বাস্তবায়নে রুশ ফেডারেশনের পক্ষে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট এবং বাংলাদেশের মধ্যে পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে চারটি চুক্তি হয়েছে।

/এসএনএইচ/