কৃষি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ঋণ বন্ধের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকৃষি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ঋণ বন্ধের পরামর্শ দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক লোনের কারণে ব্যাংকটির এ অবস্থা হয়েছে। বাণিজ্যিক লোন বন্ধ করা উচিত। কৃষি লোনের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। কারণ কৃষক এখন লোন দেওয়া-নেওয়াকে একটি কালচারে পরিণত করেছেন। তারা আগের মতো আর ভাবেন না যে, লোন নিলে ফেরত দিতে হবে না। তারা লোন পরিশোধ করেন।’ বুধবার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) গত এক বছরের লভ্যাংশের ১০ কেটি টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই পরামর্শ দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় রাজনৈতিক নেতারা লোন নিয়ে রাতরাতি শিল্পতি হয়েছেন। সেই দায় আমরা এখন বয়ে বেড়াচ্ছি। তবে তরুণদের মধ্যে সে প্রবণতা নেই। এখন অবস্থান অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।  এখন বকেয়া ঋণ রিকভারি করত হবে। ’

বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যংকিং সেক্টর মনে হয় বেশি হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন একিভূতও হয়। বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। বাংক বেশি হলেও আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। ব্যাংক এখন আর মরে যায় না। আগে ব্যাংক মরে যেতো। এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন আমাদের আইন-কানুন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।’  

ব্যাংক মরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘বহুদিন আগে আমি কমরেড ব্যাংকে কিছু টাকা ট্রানজেকশন করেছিলাম। সিলেট টু ঢাকা। কিন্তু ওই ১৪০ টাকা টাকা ট্রানজেকশন হওয়ার আগেই ব্যাংকের লালবাতি জ্বলে গেছে। আমার বাবা সরকারি ব্যাংকের আইনজীবী ছিলেন। তার কাছ থেকে ক্ষতি পূরণ নিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে দ্রুত উন্নত হওয়ার সুযোগ ছিল। কারণ পাকিস্তানকে গুডবাই বলার পর আমাদের লোন খুব সামান্য ছিল। তারপরও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক সূচকে এগিয়ে রয়েছে।’

বিভিন্ন ব্যাংকের অবস্থা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ব্যাংকই ভালো করছে। কিছু কিছু ব্যাংক ভালো করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ব্যাসিক ব্যংক। ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে, ওই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। সোনালি ব্যাংকের সমস্যা রয়েছে, সেটা থাকবেই। তাদের পরিধি অনেক বড়। সরকারের পলিসির কারণেও সমস্যা হয়।’

/এসএমএ/এমএনএইচ/