বাজার দখলে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ওয়ালটন

4দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্রান্ড ওয়ালটন দেশেই তৈরি করছে উচ্চমানের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস। অভ্যন্তরীণ বাজারে চলতি বছর এসব পণ্যের বাজারজাত শুরুর পর দ্রুতই গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই ২০১৭ সালে দেশের সিংহভাগ বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়োপযোগী ও আধুনিক বিক্রয় কৌশলের ওপর জোর দিয়েছে কোম্পানিটি।

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওয়ালটন প্লাজা হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের আলোচনাসভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম।, পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস ও ডেভলপমেন্ট বিভাগের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর কামাল হোসেন, মতিউর রহমান, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ। 

সভায় জানানো হয়, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ, ব্লেন্ডার, সিলিং ও দেয়াল ফ্যান, বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, রিচার্জেবল ব্যাটারি, এলইডি লাইট, প্যানেল লাইট, রিমোট কন্ট্রোল ফ্যান, রেগুলেটরসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস। পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন বছরে আরও বেশ কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস উৎপাদনের। প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে জার্মানি, জাপান, তাইওয়ানের প্রযুক্তিগত সহায়তায় মেধাবী, দক্ষ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা তৈরি করছেন এসকল পণ্য। মান নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতির অনুসরণ করে ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি)-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত এসব পণ্য তৈরি হচ্ছে।

ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস আন্তর্জাতিকমানের। পাশাপাশি দামও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস পয়েন্ট ও শক্তিশালী মার্কেটিং নেটওয়ার্ক। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় ২০১৭ সালে এসব পণ্যের সিংহভাগ বাজার নিজেদের করে নিতে প্রস্তুত ওয়ালটন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের মেধা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কৌশলগত উৎপাদন ও বিক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।’

ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনে পণ্যের উচ্চমান ও অন্যান্য বিশেষ গুণ সম্পর্কে বিক্রয় প্রতিনিধিদের ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ক্রেতাদের তা জানাতে হবে। পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’

/এসএনএইচ/