চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ উন্নয়নে ১৮৯০ কোটি টাকার প্রকল্প

একনেক সভা (ফাইল ছবি)চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন  উন্নয়নে এক হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক সভায় ৯ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা আসবে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত একনেকের বৈঠক হয়েছিল ১৭টি। এতে ১২৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছিল এক লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সমেয়ে ১৬টি একনেক সভায় ১৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু উত্তোলন করা হয়, সেটি দিয়ে ইটের বিকল্প  অথবা ব্লক তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে এবং অর্থিনৈতক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই একাজ শুরু করা হবে।’

একনেক সভয়া অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প, ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প, ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প।

/এসএনএইচ/
আরও পড়ুন: 
‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২৫ বছর আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো’
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব জামায়াতের