৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি হবে দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদঅস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় আমরা সব পণ্যের ওপর ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পাচ্ছি। আমরা গত অর্থবছরে  অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় এক বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রফতানি করেছি। একই সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ আগামী ৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করবে।’ সোমবার  সচিবালয়ে  বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত মিজ জুলিয়া নিব্লেটের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, পিভিসি ব্যাগ, চিংড়ি, ক্যাপসহ বেশকিছু পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি হয়। উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্ট। অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের সহযোগিতাও দেওয়া  হবে।’
বাংলাদেশ নিরাপদ বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী শতভাগ অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইন প্রণয়ন করে বিনিয়োগকারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পণ্য পাঠাতে সরাসরি কার্গো জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি ব্যয় কিছু বেশি হচ্ছে। জটিলতা না থাকলে রফতানি আরও বেশি হতো। উভয় দেশ এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমস্যা থাকবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দু’দেশের সম্পর্ক চমৎকার। আশার কথা, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বেশি রফতানি হচ্ছে। আমরা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। কার্গো জাহাজ সরাসরি চলাচল করলে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রফতানি আরও বাড়বে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জহির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

/এসআই/এমএনএইচ/