অবকাঠামো খাতে বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চায় ঢাকা চেম্বার

ডিসিসিআিই’র সংবাদ সম্মেলনবাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৩০ সালে বিশ্বের ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে হলে অবকাঠামো খাতে প্রতিবছর ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিনিয়োগ প্রয়োজন ৩২০ বিলিয়ন ডলারের।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি আবুল কাসেম খান। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র ২০১৭ সালের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এসময়  ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবিরসহ সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মিট দ্য প্রেসে বলা হয়, আমাদের দেশে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ মাত্র ২.৮৫ শতাংশ। আর বেসরকারি বিনিয়োগ মাত্র ২২ শতাংশ ও ট্যাক্স জিডিপির মাত্র ১০ শতাংশ, যা দেশের কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অন্তরায়।

আবুল কাসেম খান বলেন, ‘বিশ্বের ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জ্বালানি, অবকাঠামো, কর অবকাঠামো, ভূমি ব্যাবস্থাপনা, দক্ষ জনবল, সরকারি বিনিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়নে অদক্ষতা, প্রকল্প অর্থায়নের সমস্যা, ভূমির দাম, অধিগ্রহণ ও নিবন্ধন, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপস্থিতি।’

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৮৮ শতাংশ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সড়ক পথ ব্যবহার করে। আর মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ রেল ও ৮ শতাংশ মানুষ নৌপথ ব্যবহার করে। নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে রেল ও নৌ যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান। তিনি বলেন, ‘সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এবং মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপের কারণে ঢাকা শহরে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। তাই ঢাকাভিত্তিক প্রশাসনের বিকেন্দ্রিকরণ জরুরি। ঢাকামুখী জনস্রোত বন্ধ করতে অন্যান্য জেলা শহরেও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’

অনুষ্ঠানে তিনটি দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য বলা হয়। এর মধ্যে অবকাঠামো খাতে মালয়েশিয়া, জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো হাইব্রিড পিপিপি চালুর কথা বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

/জিএম/টিআর/আপ-এসএনএইচ/