বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি বছর একটি পণ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অফ দ্য ইয়ার-২০১৭ ঘোষণা করেছেন। সরকার সেই অনুযায়ী এ খাতের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লষ্টদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।‘
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ সময় দেশের রফতানি দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে দেশের রফতানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন পণ্য রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের রফতানি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে দেশে ২৭০টি সবুজ কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ২৫টি কারখানাকে সবুজ কারখানা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর শীর্ষ ১০টির মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি কারখানা রয়েছে।’
পোশাক কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন করা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের বিষয়ে কোনও কোনো দেশ প্রশ্ন তুলছে, কিন্তু চীন ও ভিয়েতনামে তারা এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন করছে না। বাংলাদেশ সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সফল রফতানিকারক দেশ হবে।’
এর আগে রবিবার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় অন্য একটি হোটেলে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং নেদারল্যান্ডস ইনিসিয়েটিভ ফর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশন আয়োজিত ‘এনগেজমেন্ট অব স্টেকহোল্ডার্স ফর রিসপনসিবলিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ভেল্যু চেইন ইন বাংলাদেশ গার্মেন্ট সেক্টর’ শীর্ষক মেঘা ইভেন্টের উদ্বোধন করেন।
বিজিএমইএ ইউনিভাসিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর ইউ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়িলেনেয়ার ও বিজিএমই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস
/এমএনএইচ/