নিটশিল্প খাতে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় আইএলও

 

আইএলও এবং বিকেএমইএ-এর কর্মকর্তারানিট শিল্পখাতে সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। একইসঙ্গে স্যোসাল ডায়ালগের মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল শিল্প চেইন গড়ে তোলার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএলও। বিকেএমইএ ঢাকা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও এবং বিকেএমইএ-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি এএইচ আসলাম সানি। সভায় আরও উপস্থিত আইএলও-এর রাভি পেরিস, মিরান্ডা ফ্যাজারমেন, ওতোমো পুতেনিন।

এই সভার পরপরই স্যোসাল ডায়ালগ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন নিশ্চিতকরণে আইএলও ও বিকেএমইএ-এর মধ্যে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আইএলও-এর প্রতিনিধিত্ব করেন মহেন্দ্র নাইডু ও সলেমান রাজবংশী।

আইএলও-এর সিনিয়র বিশেষজ্ঞ রাভি পেরিস বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত আইএলও কনভেনশনগুলো বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে নিটশিল্পখাতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ অনেকাংশে সফলতা অর্জন করার কথা তুলে ধরেন। তবে তিনি সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার নিমিত্তে শিল্পকারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগসুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া, জীবন মানের উন্নয়নে সহায়তা প্রদান এবং সর্বোপরি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি গঠনে শিল্প-উদ্যোক্তা বা মালিকদের বিশেষভাবে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান।

আইএলও-এর অন্য প্রতিনিধি মিরান্ডা ফ্যাজারমেন বলেন, ‘এ খাতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।’ আইএলও সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। একইসঙ্গে কাস রিপোর্টের আর্টিকেল সি-৮৭ ও ৯৮ বিষয়টি তুলে ধরে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে আইএলও’র বিভিন্ন অবজারভেশন ও কনসার্নের বিষয়টি তুলে ধরে।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নের বিষয়টিকে ইনডিভিজুয়াল কেস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এএইচ আসলাম সানি, শিল্পউদ্যোক্তা ও মালিকদের গঠনশীল ভূমিকার পাশাপাশি সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলোর আন্তরিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি নিট শিল্পখাতে বিদ্যমান সংস্কার কার্যক্রমের তথ্যবহুল বর্ণনা দেন; যার মাধ্যমে ২০১৩ সালের পর থেকে এই সেক্টরের অভূতপূর্ব স্ট্রাকচারাল রিফর্মের ব্যাপারটি ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিরপেক্ষভাবে তথ্য উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি জি.এম ফারুক, মোস্তফা জামাল পাশা, এমআই সিদ্দিক (সেলিম মাহবুব), শহিদ উদ্দীন আহমেদ আজাদ ও সুলভ চৌধুরী প্রমুখ।  

/এসআই/এমএনএইচ/