ভ্যাটের কারণে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না

এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভাইন্টারনেট সরঞ্জাম ও ব্যবহারে মূসক ও শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। অন্যদিকে, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার অভিযোগ করে বলেছেন, ভ্যাটের কারণে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব করা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. পারভেজ ইকবাল (করনীতি) ও মো. লুৎফর রহমান (শুল্কনীতি)।
আলোচনা সভায় বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সবোর্চ্চ গুরুত্বপূর্ণ খাত আইসিটি। আর আইসিটি যোগাযোগের মাধ্যম হলো আইএসপি ইন্ড্রাস্টিজ। এটি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান ভ্যাট মওকুফ ও আইসিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর উচ্চহার কমিয়ে ১৮ শতাংশ করতে হবে।’ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট-শুল্ক বসানোর কারণে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এর মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঢাকা শহর ও এর আশপাশের বাসিন্দা। আর দেশের অন্যান্য এলাকায় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ১৩ লাখ। এ ধরনের ডিজিটাল বৈষম্যের অন্যতম কারণ ভ্যাট। ভ্যাটের কারণে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ভবিষ্যত প্রজন্ম ইন্টারনেট সভ্যতার মধ্যে বসবাস করবে। কিন্তু সুলভে ইন্টারনেট না পেলে তাদের ইন্টারনেট সভ্যতার ভাঙা-চোরা রাস্তায় বসবাস করতে হবে।’
এনবিআরের আলোচনা সভায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার ছাড়াও ইন্টারনেট সরঞ্জাম মডেম, ইথারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সব ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারেরও সুপারিশ করে আইএসপিএবি।
/জিএম/টিআর/