কৃষিকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে চায় ডিসিসিআই

ডিসিসিআইকৃষিকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান। পাশাপাশি কৃষি খাতে অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (৭ মে) ডিসিসিআই এবং ইউএসএআইডি ভ্যালু চেইনস প্রজেক্ট (এভিসি) যৌথভাবে আয়োজিত ‘কৃষি খাতে বিকল্প অর্থায়নের সুযোগ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় ডিসিসিআই সভাপতি এসব কথা বলেন। তার মতে; সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে কৃষি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কৃষি খাতে বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান আবুল কাসেম খান। তিনি বলেন, ‘এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষ করে মৎস চাষ, পোল্ট্রি এবং শাক-সবজি উৎপাদন প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ লোক নিয়োজিত রয়েছে। তারা রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
ডিসিসিআই-ডাই প্রকল্পের প্রধান মো. শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪ শতাংশ। কৃষি খাত শুধু গ্রামীণ অর্থনীতিতে নয়, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বিকাশে অবদান রাখছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রয় জানান, কৃষি খাতের বিকাশে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল রি-ফিন্যান্সিং ফান্ড গঠন করেছে। এতে দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোকে উক্ত খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে ১০% সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বর্তমানে নারী উদ্যোক্তারা ঋণ সহায়তা পাচ্ছে ৯% হারে। কর্মশালায় আরও ছিলেন ইউএসএআই ডি’র ভ্যালু চেইন প্রকল্পের প্রধান মাইকেল ফিল্ড।

/জিএম/জেএইচ/