‘হালাল ট্যুরিজম’ নিয়ে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে আমিরাত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

‘মুসলিম দেশগুলোতে হালাল ট্যুরিজমের যে ব্যাপক বাজার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্টদূত ড. জাবেদ বিনহাজর আল সেহী মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আরব আমিরাতের রাষ্টদূতের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননবৈঠকে বলা হয়, ধর্মীয় মিল ছাড়াও উভয় দেশের (বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস যা দেশ মধ্যে নতুন নতুন যোগাযোগের ক্ষেত্র উন্মোচন করতে পারে। উভয় দেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করতে প্যাকেজ ট্যুর এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে বিনিয়োগ-বাণিজ্য, জনশক্তিসহ ভ্রাতৃপ্রতীম দুই মুসলিম রাষ্ট্রের সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এছাড়া, ঢাকা-দুবাই, আবুধাবি এবং শারজাহর মধ্যে বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি ও পর্যটনের বিকাশে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। বৈঠকে মুসলিম দেশসমূহে বিরজমান অনৈক্য, গোষ্ঠীগত সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ এবং ইসলামী সম্মেলন সংস্থার ভূমিকা ও আগামী ১০-১২ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসির পর্যটনমন্ত্রীদের সম্মেলন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।

/এসআই/এমও/