গোল্ড ব্যাংক চান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সংবাদ সম্মেলনস্বর্ণ ব্যবসা সহজ করার জন্য ‘গোল্ড ব্যাংক’ বা ‘গোল্ড-এক্সচেঞ্জ’-এর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতারা। তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা ব্যাংকের নিয়োগ করা কোনও প্রতিষ্ঠান জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের কাছে স্বর্ণ সরবরাহ করে না। তাই ‘গোল্ড এক্সচেঞ্জ’ ও ‘গোল্ড ব্যাংক’ করা হলে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করার দাবিতে  আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

জুয়েলার্স সমিতির নেতারা বলেন, বর্তমানে স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ভরি স্বর্ণের জন্য তিন হাজার টাকা ও এটিভি শুল্ক বাবদ ৪ শতাংশ শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। এটা ৫শ’ টাকা অন্যান্য শুল্ক তুলে দিয়ে স্বর্ণবার আমদানির সুযোগ দিতে হবে। কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী এলসির মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি একটি জটিল প্রক্রিয়া। একজন সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীর পক্ষে এলসির মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি করা প্রায় অসম্ভব। তাই এলসির মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি সহজ করতে হবে।

দেশীয় স্বর্ণশিল্প রক্ষার্থে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাগেজ রুলসের আওতায় দেশে স্বর্ণ নিয়ে আসার সময় বিমানবন্দরে কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ তাদের কোনও ছাড়পত্র দেন না উল্লেখ করে জুয়েলার্স সমিতির নেতরা বলেন, এসব স্বর্ণ যখন তারা স্বর্ণ দোকানে বিক্রি করতে যান, তখন তারা কোনও বৈধ কাগজপত্র দিতে পারেন না। যদিও তারা বিদেশ থেকে বৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসছেন। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোনও কাগজপত্র ছাড়াই জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনতে বাধ্য হন। এমতাবস্থায় স্বর্ণালঙ্কারের বৈধতা নিশ্চিতকরণ ও স্বর্ণ বারের ওপর শুল্ক হার সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা জরুরি। এছাড়া দেশীয় জুয়েলারি শিল্পের স্বার্থে একটি নীতিমালাপর আওতায় রিসাইকেলিং স্বর্ণের বৈধতা দেওয়ার দাবি জানান তারা।

/জেইউ/এমএনএইচ/