দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও ‘মুজিব কিল্লা’

জাতীয় সংসদে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতবন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগ প্রবণ জেলায় ত্রাণ গুদাম নির্মাণ এবং মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। এটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। বেলা দেড়টা থেকে বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও অবস্থানগত কারণে আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলে পরিচিত। তবে যেকোনও ধরনের অভিঘাত মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত। এর পেছেনে রয়েছে জনগণের অদম্য মনোবল এবং সরকারের বাস্তবানুগ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, ও নীতি বা কৌশল। এরই অংশ হিসেবে সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা গ্রহণ করেছি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, ২০১৬-২০২০। ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোবাবিলায় সচেতনতা ও রেজিলিয়্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ রোধ, জলাবদ্ধতা সিরসন এবং সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারসহ চলমান অন্যান্য কার্যক্রম আমারা এগিয়ে নেব। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রায় ৮২৫ কোটি এবং হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ৬৮৫ কোটি টাকার দু’টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পাশাপাশি এগিয়ে চলছে নদী ড্রেজিং ও ন্যাবতা বৃদ্ধির লক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আরও একটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক-কাম- বেড়ি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি আগামী অর্থ বছরে চর, হাওর ও পশ্চাৎপদ এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখেছি।’

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম সাড়ে চার লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ছয় লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

/সিএ/এসএমএ/