যে সব পণ্যের দাম কমতে পারে

দাম কমছে২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেসব পণ্যে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর দাম কমবে। দাম কমতে পারে সেগুলো হচ্ছে- বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, ওষুধ, মেডিক্যাল দ্রব্যসামগ্রী, পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা উপকারণ, শিক্ষা উপকরণ ও কৃষি উপকরণ। ভোজ্যতেল: ভোজ্য তেল আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে সয়াবিনসহ অন্য ভোজ্যতেলের দাম কমতে পারে।



হাইব্রিড গাড়ি:  এ ধরনের গাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। এ কারণে আগামীতে হাইব্রিড গাড়ির দাম কমবে।
ওষুধ: জীবন রক্ষাকারী ৯৩ ধরনের ওষুধে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব ওষুধের দাম কমবে।
এলপি গ্যাস সিলিন্ডার: এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।
কম্পিউটার যন্ত্রাংশ: কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কম্পিউটার যন্ত্রাংশের দাম কমবে। 
আঠা: কাঠসহ অন্য তৈজসপত্র জোড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত আঠার দাম কমবে। কারণ এর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
এছাড়া ফ্যারো সিলিকন, ক্রুড মিকা, ইনগট, টেলকম পাউডার, সয়াবিন মিল, ৫ হাজার লিটারের নিচের এলডি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের ওপর কর ও শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশীয় তৈরি টেলিফোন, দেশে সংযোজিত ও উৎপাদিত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবের দামও কমবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাব উৎপাদনে ব্যবহার হয় এমন প্রায় ৫০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়ে অভিন্ন ১ শতাংশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগে আমদানি শুল্ক ছিল ২১টি পণ্যে ২৫ শতাংশ, একটি পণ্যে ১৫ শতাংশ, ১০টি পণ্যে ১০ শতাংশ ও ১৮টি পণ্যে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ ছিল। সেলুলার ফোন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এমন ৪৪টি পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
এদিকে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, এলপিজি সিলিন্ডার ও ভোজ্য তেলে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনকে প্রণোদনা প্রদানের স্বার্থে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ২০১৯ সালের আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। সেইসঙ্গে ‘এয়ারকন্ডিশনার ও গ্যাস সিলিন্ডার উৎপাদন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে’ এই দুই পণ্যে প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধাও ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
এর আগে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত এ বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
/জিএম/টিএন/আপ-এসএমএ/