ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে রফতানি বৃদ্ধিবিষয়ক দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লি গুয়াংজুন। তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চীন পৃথিবীর বৃহত্তম বাজার। চীন সরকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলো থেকে চীনের বাজারে পণ্য রফতানির বিষয়টিকে উৎসাহিত করে থাকে, এ জন্য চীনে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে।’
বাংলাদেশ থেকে প্রধানত টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, সি ফুড, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে জানিয়ে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন কাউন্সিলর লি গুয়াংজুন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা)-এর আওতায় চীনে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকলেও চীন সরকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলো থেকে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘ডিউটি ফ্রি-ট্যারিফ ফ্রি এগ্রিমেন্ট’ নামে একটি প্রকল্প নিয়েছেন। ডিসিসিআইর মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবিরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের মোহাম্মদ ইস ফিহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি হোসেন এ সিকদার, সাবেক সহসভাপতি এম আবু হোরায়রাহ।
জিএম/এএম/টিএন/